চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রাজস্ব শাখায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুপুরে দুদক কর্মকর্তারা অভিযান শেষে তারা এসব কথা জানান। দুদকের অভিযানে রাজস্ব শাখায় দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ সময় তারা রাজস্ব অফিস থেকে বেশকিছু নথিপত্র জব্দ করেন।
জানা যায়, চসিকের ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম-দুর্নীতি, অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ ও গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করতে দুদকের একটি টিম নগর ভবনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে রাজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। পরে নথিপত্র যাচাই করা হয়। এরপর দুদক টিমের সদস্যরা নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় চসিকের রাজস্ব সার্কেল-৪ এর কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। সেখান থেকে বেশকিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়। তবে অভিযানে রাজস্ব শাখার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযান শেষে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবীর চন্দন বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স শাখায় নানা অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। পরিদর্শকরা ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বেশি অর্থ আদায় করা, সুনির্দিষ্টভাবে নিবন্ধন না করাসহ নানা অনিয়ম পাওয়া যায়। তবে আমরা মনে করছি, চসিকের প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে সার্কেল অফিসের সমন্বয়হীনতার কারণে সরকারি কোষাগারে ঠিকমত রাজস্ব জমা হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানেও দুই থেকে তিনগুণ বেশি টাকা নেয়ার প্রমাণ মিলেছে। পরিদর্শকদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা বেশি। সার্বিক তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তাঁর আমলে প্রথমবারের মতো দুদক অভিযান পরিচালনা করে। এর আগে সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমের সময়ও দুদক একাধিকবার চসিকে অভিযান পরিচালনা করে নথিপত্র জব্দ করেছিল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার