বাংলা বর্ষ বিদায় ও বরণে প্রস্তুত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। বর্ণিল অনুষঙ্গ দিয়ে বৈশাখ বরণে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। নান্দনিক সাজে সাজছে চট্টগ্রাম। চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যের স্মারকগুলো শোভা পাচ্ছে সড়ক, প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থানে। বাঙালির অপরূপ নান্দনিক ঐতিহ্য দিয়েই বরণ করা হবে বাংলা বর্ষকে। প্রস্তুত কবি-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি কর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রস্তুত জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। বৈশাখি অনুষ্ঠানমালায় থাকছে গান, নৃত্য, যাদু প্রদর্শনী, যন্ত্র সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, বৈশাখি সঙ্গীত, বাউল গান, আবৃত্তি, লোকনৃত্য, উপজাতীয় নৃত্য ও লালনগীতি।
জানা যায়, পহেলা বৈশাখকের উৎসব নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) আগামী ১৩ ও ১৪ এপ্রিল নগরজুড়ে চার স্তরে ৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী থাকবে। নগরীর সিআরবি শিরীষতলা, ডিসি হিল, নেভাল-২, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ প্রধান প্রধান বৈশাখী উৎসব স্থানকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘অনুষ্ঠানস্থলে কোনো ব্যাগ, মুখোশ, লম্বা আলখেল্লা, নিষিদ্ধ ভুবুজেলা ব্যবহার ও বহন করা যাবে না। কোনো ধরনের মাদক ও দিয়াশলাই বহন করা যাবে না। বাঙালির প্রাণের উৎসবকে নিরাপদে পালনের স্বার্থে পহেলা বৈশাখের সব ধরনের আয়োজন ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।’
অন্যদিকে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনও নিয়েছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। আইনশৃঙ্খলারক্ষায় বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে থাকবেন তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পতেঙ্গা এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান, সিআরবি এলাকায় থাকবেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস. এম শান্তুনু চৌধুরী এবং ডিসি হিল এলাকায় থাকবেন কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের দিন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। সিএমপির পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিচারিক দায়িত্ব পালন করবেন।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার