১৬ এপ্রিল, ২০১৯ ২০:০১

'নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় রাজস্ব আদায়ের বিকল্প নেই'

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

'নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় রাজস্ব আদায়ের বিকল্প নেই'

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে প্রথমবারের মত আয়োজন করা হয়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় পক্ষ।মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্স এর নীচ তলায় হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় পক্ষ উদ্যাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। 

আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চসিকের ৮টি রাজস্ব সার্কেলে একযোগে চলবে হোল্ডিং টেক্স মেলা। হোাল্ডিং ট্যাক্স আদায় পক্ষ চলাকালীন হোল্ডিং মালিকগণ স্ব-স্ব ওয়ার্ডের আওতাধীন রাজস্ব সার্কেল সমুহে সারচার্জ বিহীন পৌরকর প্রদানের সুযোগ পাবেন। এছাড়া নগরীর হোল্ডিং মালিকগণ সহজে কর পরিশোধ করার যে সকল প্রক্রিয়া আছে তাও জানতে পারবেন। এদিন অনুষ্ঠানেই বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান টাকা নগদ এবং চেকের মাধ্যমে প্রায় ১১ লক্ষ ৩২ হাজার পরিশোধ করেন।  

চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত টেক্স মেলায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহেদ ইকবাল বাবু, কফিল উদ্দিন খান, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি প্রমুখ।

সমাবেশে সিটি মেয়র বলেন, ‘নাগরিক সেবার স্বার্থে চসিকের আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন। সম্মানিত নাগরিকদের সেবা এবং উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাজস্ব আদায় ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। বাস্তবতাকে অনুধাবন করেই আমরা নাগরিকদের নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করার আহবান জানাই।’ 
তিনি বলেন, ‘সম্মানিত নাগরিকগণ পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য যেভাবে বিল পরিশোধ করে সেবা গ্রহণ করেন, ঠিক একই ভাবে চসিকের পৌরকর পরিশোধ করে নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে হবে। সরকারি বেসরকারি সকলের সমুন্নত পৌরকর প্রদানের পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে চাই। সরকারি বেসরকারি মিলে যে ট্যাক্স সিটি কর্পোরেশন পায়, তা দিয়ে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতাদিও হয় না। তারপরেও চসিক পরিচালিত শিক্ষাখাতে ৪৩ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ১৩ কোটি সর্বমোট ৫৬ কোটি টাকা ভুর্তকি দিচ্ছে চসিক। এসব প্রতিষ্ঠানে ৬০ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।

সিটি মেয়র বলেন, ‘দায়িত্ব পালন করতে গেলে নানামুখী চ্যালেন্স ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়। তবে ধীরে ধীরে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে, পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটছে, এরই সঙ্গে তাল মিলিয়ে নগরের সার্বিক উন্নয়ন চলমান রয়েছে। এ সকল উন্নয়নের পেছনে পৌরকর অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই পৌরকর সহজকরণের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে চসিক। পৌরকর নিয়ে আমরা সবাই দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে চসিকের সহযোগী হলে চট্টগ্রামের চিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব।’

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর