রংপুরে অপহরণের প্রায় দুই মাস পর সাড়ে চার বছরের শিশু রাহিমুল ইসলাম রনকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গলা কেটে হত্যার পর লাশটি বস্তাবন্দি করে মাটিচাপা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টায় মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তেপানি পাথার এলাকার এক জমি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাহিমুল শহরের আদর্শপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী মোছাদ্দেক হোসেন রাঙার ছেলে।
কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “গলা কাটা লাশটি বস্তাবন্দি করে মাটিচাপা দিয়ে রাখা ছিল।
ওসি আব্দুল কাদের বলেন, গত ১ ডিসেম্বর দুপুরে রাহিমুলকে নিজেদের বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় জানিয়ে মোছাদ্দেক হোসেন ৩ ডিসেম্বর তার খালাতো ভাই খোড়াগাছ ইউনিয়নের পাইকারের হাট এলাকার মোবাশ্বের আলমকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় অপহরণ মামলা করেন। টাকা লেনদেনের ঘটনা নিয়ে মোছাদ্দেকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে মোবাশ্বের রাহিনুলকে অপহরণ করেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।
তিনি আরও জানান, “ঘটনার পর থেকে মোবাশ্বের পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী, বাবা, মা, ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খবর আসে শিশু রনকের লাশ মোবাশ্বেরের বাড়ি কাছে তেপানি পাথারের একটি জমিতে মাটিচাপা দেওয়া আছে।”
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শনিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব