৫ মাসের বকেয়া সহ প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে নিয়মিত বেতন প্রদান, প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৩৬ মাসের অর্থ বরাদ্দ, বেতন বৈষম্য দূরিকরন, উন্নয়ন কাজের নামে অনিয়ম রোধ এবং অপ্রয়োজনীয় জনবল বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিন ৫ ঘণ্টার কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
রবিবারও সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিরা তাদের দাপ্তরিক কাজ ফেলে কর্মবিরতি শুরু করেন। এ সময় তারা নগর ভবন চত্ত্বরে জড়ো হয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেন। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর ভবনের ভেটেরেনারী সার্জন ডা. রবিউল ইসলাম, স্টোর অফিসার আলমগীর হোসেন এবং নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবিব প্রমুখ।
সমাবেশের ফাঁকে ফাঁকে বকেয়া বেতন সহ বিভিন্ন দাবিতে থেমে থেমে শ্লোগান দেয় তারা। এর আগে একই দাবিতে গত বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা এবং বুধবার ৩ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা টানা তৃতীয় দিন কর্মবিরতি পালন করায় নগর ভবনের প্রতিটি দপ্তরের চেয়ার-টেবিল ফাঁকা হয়ে যায়। সেবা গ্রহীতারা এসে কাজ সম্পন্ন করতে না পেরে ফিরে যায়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা তারা জানান, নিয়মিত কাজ করার পরও বেতন না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। এতে সামাজিকভাবে হেয় হতে হচ্ছে তাদের। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই নিয়মতান্ত্রিক এই আন্দোলনে নেমেছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তারা।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, নতুন পে-স্কেলের কারণে বেতন অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই তুলনায় করপোরেশনের কর আদায় বাড়েনি। তাই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি নগরবাসীর সেবা স্বাভাবিক রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলন পরিহার করে কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
বরিশাল সিটি করপোশেনের স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪শ’। অস্থায়ী কর্মচারির সংখ্যা ৭৯জন। তারা গত ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এছাড়া আউট সোর্সিংয়ের প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক-কর্মচারি বেতন পাচ্ছেন না গত ২ মাস ধরে। সিটি করপোরেশনের মাসিক ব্যয় ৩ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় হয় দেড় থেকে পৌঁনে ২ কোটি টাকা।