খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০১৮ নামে জাতীয় সংসদে পৃথক দু’টি বিল উত্থাপিত হয়েছে।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বিল দুটি উত্থাপন করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলদু’টি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ২০১৮ আনা হয় ‘খ্রিস্টিয়ান রিলিজিয়ার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অধ্যাদেশ, ১৯৮৩’ রহিত করে। বিলে সংশোধিত আকারে আইনটি পুনঃপ্রণয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়। আকেইভাবে ‘বুদ্ধিস্ট রিলিজিয়ার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অধ্যাদেশ, ১৯৮৩’ রহিত করে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, ২০১৮ আনা হয়।
বিলে বিদ্যমান অধ্যাদেশের অধীন গঠিত খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়। একইসঙ্গে ধর্মমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে ১০ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিলে বিদ্যমান অধ্যাদেশের অধীন গঠিত বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়। তবে ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা ৮ সদস্যের। যথারীতি বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন ধর্মমন্ত্রী। উভয় বিলে ট্রাস্টের কার্যাবলী, ট্রাস্টের তহবিল, বাজেট, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, পরিচালনা ও প্রশাসন, কর্মচারী নিয়োগ, বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ, বিধি ও প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন