খুলনার কাশিপুর এলাকার যুবক সাব্বির হোসেন। পেশায় তিনি একজন তেল শ্রমিক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি দিয়ে প্রশ্নপত্র কেনাবেচা করেন তিনি। অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় ওই চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে সাব্বির।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার শুরু থেকেই ফেসবুক আইডিতে প্রশ্ন কিনে তা পরিচিতদের কাছে বিক্রি করছিল সাব্বির। 'তুমার স্মৃতিগুলো', 'জান্নাতুল ফেরদৌস সাজিদ', 'সুমাইয়া' নামের ফেসবুক আইডি থেকে এসব প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হচ্ছিল।
শনিবার র্যাবের অভিযানে নগরীর দৌলতপুর থেকে আটক হয় সাব্বির। পরে জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে সে এসব কথা জানায়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খালিশপুর ও চিত্রালী এলাকা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে নাইমুর রহমান (১৬) খুলনা বর্ডার গার্ড স্কুল ও মোনায়েম শাহারিয়া রাফি (১৬) ও চয়ন রায় (১৭) খুলনা মহসিন স্কুলের শিক্ষার্থী।
গ্রেফতার হওয়া অন্যরা হলো- খায়রুল ইসলাম (১৮), সাকিব হোসেন (১৮), ইব্রাহিম আল নাইম (১৬), মো. সাজিদ (১৬) ও সাব্বির হোসেন (১৮)। এদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৪(ক)/৯(খ)/১৩ ধারায় মামলা হয়েছে।
বিকালে খুলনা র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া 'বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়' (সৃজনশীল) প্রশ্নপত্রের লিখিত প্রশ্ন শুক্রবার রাতে ও এমসিকিউ প্রশ্ন শনিবার সকালে পরীক্ষার আগেই ফাঁস হয়।
কয়েকটি ফেসবুক আইডি থেকে এই প্রশ্ন ফাঁস করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র বিক্রির টাকাসহ প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা ও নীলফামারীতে এই চক্রের সদস্যরা রয়েছে। সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগেই জেলা প্রশাসন ও পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া হয়। পরীক্ষা শুরুর পর মূল প্রশ্নপত্রের সাথে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আরাফাত