খুলনায় সিটি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়েছে মহানগর বিএনপি। নির্বাচনের পর বিএনপি কর্মীদের এলাকা ছাড়ার হুমকি, কর্মস্থল ত্যাগে বাধ্য করা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, হামলা ও মারধর করে চোখ উৎপাটনের চেষ্টার মতো ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর ও সরকারি দলের অঙ্গ সংগঠনের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় এসব ঘটনা ঘটালেও পুলিশ নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
আজ রবিবার রাতে মহানগর বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২ জুন রাতে ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক আলতাফ হোসেনকে স্টেশন রোডের কদমতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের মদদে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। এসময় তার ডান চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এর আগে নগরীর ১৮, ২১, ২২, ২৪, ২৯, ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ড এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি ও মারধর করা হয়। বিএনপির সমর্থক ১০/১২ জনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। যুবদল কর্মী জুয়েল সরদারকে রূপসা ফেরীঘাট এলাকায় হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করা হয়। জুয়েল সিটি নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করেছিল।
বিএনপি নেতারা অবিলম্বে এ ধরনের ঘটনা বন্ধে উদ্যোগ নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহবান জানান। সেই সাথে সন্ত্রাসী অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য এম নূরুল ইসলাম দাদুভাই, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, মীর কায়সেদ আলী, মো. মুশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম মেঝোভাই, স ম আব্দুর রহমান, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, ফকরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু ও আসাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান