আজ আদমজী জুট মিল বন্ধের ১৬ বছর। ২০০২ সালের ৩০ জুন তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার চিরতরে আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেয়।
আদমজী ইপিজেড সূত্রমতে, বন্ধ হয়ে যাওয়া আদমজী পাটকলের ২৪৫ দশমিক ১২ একর জমির ওপর আদমজী ইপিজেড স্থাপিত হয়েছে। এ ইপিজেডের মোট প্লটের সংখ্যা ২২৯টি।বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ জোন (বেপজার) ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত এ ইপিজেডে ৫৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে রয়েছে। যার মধ্যে ২৯টি বিদেশী, ১৪টি যৌথ মালিকানাধীন ও ১৪ টি বাংলাদেশী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, মরিশাস, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান,হংকং, চীন, ভারত, পাকিস্তান, রোমানিয়া, কুয়েত, ইউক্রেন, মালয়েশিয়া, ভার্জিনআইল্যান্ড, কানাডার মালিক।
প্রতিটি প্লটের আয়তন ২ হাজার বর্গমিটার। কোন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান ১০ এর অধিকও প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। এসব কারখানায় গার্মেন্টস, জিপার, কার্টন, হ্যাঙ্গার, লেভেল, ট্যাগ, জুতা, সোয়েটার, টে·টাইল, মোজা, জুয়েলারী, পলি ও ডায়িংসহ ইত্যাদি পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। যা শতভাগ রপ্তানিযোগ্য পণ্য। আদমজী ইপিজেড প্রতিষ্ঠার পর ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছিল ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ইপিজেডে বিনিয়োগ হয়েছে ৪৪৬ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০০৬-০৭ অর্থবছরে বিদেশে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৯ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। অথচ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইপিজেড থেকে বিদেশে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ২৬৭ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে কর্মসংস্থান হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৬২৫ জনের। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এইপিজেডে চাকরি করছেন ৫৬ হাজার ১২৭ জন শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা। স্থানীয়দের অভিযোগ আদমজী বন্ধ করার পরও ইপিজেড নির্মাণের সময় পর্যন্ত স্থানীয় একাধিক সিন্ডিকেট মিলের যন্ত্রাংশ, লোহা, তামা ও মূল্যবান বৈদ্যুতিক তারসহ কয়েক শ’ কোটি টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। কিন্তু এর হোতাদের কোন বিচার হয়নি। সন্ত্রাস ও লোকসানের অজুহাতে মিল বন্ধ হলেও সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দেয়া হয়নি এখনো।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জুন ২০১৮/হিমেল