গুলশানে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে জাতি। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ৯ ইতালিয়ান, সাত জাপানিজ, একজন ভারতীয়, একজন আমেরিকান-বাংলাদেশ দ্বৈত নাগরিক ও দুজন বাংলাদেশি এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে। জঙ্গিরা রেস্টুেরেন্টের অন্যান্য অতিথি এবং কর্মচারীদের রাতভর জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে শেষ হয় এই জিম্মিদশা।
অন্য সময় হলি আর্টিজান ভবনটি বন্ধ থাকলেও আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়। সকাল ১০টার আগেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে হলি আর্টিজানের সেই ভবনের সামনে বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তি, দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, ডিএমপি কমিশনার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, র্যাবের ডিজি বেনজীর আহম্মেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মর্মান্তিক ও নৃশংস এ ঘটনার তদন্তে সরকার বসে নেই।’
পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট হবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ হামলা হচ্ছে। তবে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তারা অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে গেছে।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ বলেন, যতদিন জঙ্গিদের অস্তিত্ব থাকবে ততদিন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যে কোন মূল্যে তাদের মুলোৎপাটন করা হবে।
এদিকে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে অকালে আত্মত্যাগকারী দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে পুরাতন গুলশান থানার সামনে আজ ‘দীপ্ত শপথ’ নামে একটি ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার