বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন টেস্ট অধিনায়ক রোস্টন চেজ
- ১০ লাখ গাজাবাসীকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা আমেরিকার
- শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদ্ণ্ড
- আইপিএল: মুস্তাফিজকে দলে নিয়েও বড় বিপদে দিল্লি
- পাকিস্তানকে কেবল ট্রেলার দেখানো হয়েছে, রাজনাথের হুঁশিয়ারি
- ১৯ বছর পর আবারও একসঙ্গে শাহরুখ-রানি!
- ১০০০ করে বন্দি বিনিময়ে রাজি রাশিয়া-ইউক্রেন
- আরও তীব্র ইসরায়েলি বর্বরতা, গাজায় একদিনে নিহত ১১৫
- ভারতের নতুন অধিনায়ক গিল?
- আজ খোলা থাকবে সরকারি অফিস
- যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ে নিহত অন্তত ৪
- ভারত নদীতে বাঁধ দিয়ে আধিপত্যবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় : সাকি
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে জনগণের সমর্থন ছিল : প্রেস সচিব
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ মে)
- মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়নি, শেষ হওয়ারও নয়
- যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে পালালেন খুনের আসামিসহ ১১ বন্দি
- চাঁদপুরে পুলিশের চুরি যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আটক ২
- টেকনাফে স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার
- মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মা-বাবাকে কুপিয়ে জখম
- বাংলাদেশের রূপরেখা নিয়ে ববিতে আলোচনা সভা
শাশুড়িসহ তিন খুনের দায়ে জামাতার মৃত্যুদণ্ড
আদালত প্রতিবেদক:
অনলাইন ভার্সন
রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগে শাশুড়ি, শ্যালিকা ও ভাগ্নিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একমাত্র আসামি মো. আল ইসলাম জীবনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ঢাকা মহানগরের ৮ নম্বর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মো. মাজহারুল হক সাংবাদিকদের জানান, রায় ঘোষণার আগে কারাবন্দি আসামি জীবনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারো পাঠানো হয়েছে। বাদীপক্ষের ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম ইসলামবাগের বাসিন্দা রাশিদা বেগম, তার মেয়ে সীমা ও নাতনি বন্যাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০১৬ সালে আসামি জীবনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাশিদা বেগম তার দুই মেয়ের মধ্যে সুমির সঙ্গে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার নূরুল হক সরদারের ছেলে আল ইসলাম জীবনের কাছে বিয়ে দেন। জীবন ও সুমির দুই সন্তানের নাম জুঁই ও সানী। দ্বিতীয় সন্তান সানীর জন্মের সময় আসামি জীবনের স্ত্রী সুমির মৃত্যু হয়। সুমির শেষ ইচ্ছা অনুসারে রাশিদা বেগম দুই নাতি-নাতনিকে তার নিজের কাছে রাখতে আদালতে মামলা করেন। আদালত বাচ্চাদের রাশিদা বেগমের কাছে রাখার আদেশ দেয়। রশিদার আরেক মেয়ে সীমা, তার স্বামী সোহাগ এবং তাদের মেয়ে বন্যাও থাকতেন একই বাসায়। আসামি জীবন বিভিন্ন সময়ে বাচ্চাদের দেখার জন্য শাশুড়ি রাশিদা বেগমের বাসায় যাতায়াত করতেন। ২০১৬ সালের ৪ জুলাই দুপুরে তিনি ওই বাসায় সন্তানদের নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে রাশিদা বেগমকে রাম দা নিয়ে কুপিয়ে জখম করেন জীবন। সীমা ও বন্যা তাকে ঠেকাতে গেলে জীবন তাদেরও কুপিয়ে জখম করেন। জামাতার ওই আক্রমণে রাশিদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে সেদিন বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বন্যা। আর তার মা সীমার মৃত্যু হয় ৬ জুলাই। এ ঘটনায় রাশিদা বেগমের ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন ওই বছরের ৬ জুলাই চকবাজার থানায় জীবনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আসামি জীবন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এই বিভাগের আরও খবর