বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- বোচাগঞ্জে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ৬ নেতা গ্রেফতার
- তৃতীয়বারের মতো সেরা দেশীয় এয়ারলাইনের স্বীকৃতি পেল ইউএস-বাংলা
- দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক
- হেফাজত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
- অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত নীতির ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে: প্রেসসচিব
- মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহতের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
- কারিগরি শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই: শিক্ষা উপদেষ্টা
- কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
- টানা ৯ ঘণ্টা ঘুম, পুরস্কার ৯ লাখ! জিতলেন যে নারী
- ঐকমত্য কমিশন কারো ওপর কিছু চাপিয়ে দেবে না: আলী রীয়াজ
- ১০ জুলাই এসএসসি ফল প্রকাশের সম্ভাবনা
- চীনে ‘গোল্ড ডিগার’ গেম ঘিরে লিঙ্গবৈষম্য বিতর্ক
- এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বারবার ত্রুটি, এবার জয়পুরে জরুরি অবতরণ
- সোশ্যাল মিডিয়ায় পাতা ‘লাভের ফাঁদে’ ২.১৫ কোটি রুপি গায়েব ব্যবসায়ীর
- বাছাইকৃত সংবাদ
- মঙ্গলে ছিল পানি, ছিল পরিবেশও—তবুও প্রাণ টেকেনি!
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া
- দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- কারালের ধ্বংসের পর কী ঘটেছিল? পেনিকো শহর দিচ্ছে নতুন ইঙ্গিত
- ইয়েমেনে দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলা
শাশুড়িসহ তিন খুনের দায়ে জামাতার মৃত্যুদণ্ড
আদালত প্রতিবেদক:
অনলাইন ভার্সন
রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগে শাশুড়ি, শ্যালিকা ও ভাগ্নিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একমাত্র আসামি মো. আল ইসলাম জীবনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ঢাকা মহানগরের ৮ নম্বর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মো. মাজহারুল হক সাংবাদিকদের জানান, রায় ঘোষণার আগে কারাবন্দি আসামি জীবনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারো পাঠানো হয়েছে। বাদীপক্ষের ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম ইসলামবাগের বাসিন্দা রাশিদা বেগম, তার মেয়ে সীমা ও নাতনি বন্যাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০১৬ সালে আসামি জীবনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাশিদা বেগম তার দুই মেয়ের মধ্যে সুমির সঙ্গে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার নূরুল হক সরদারের ছেলে আল ইসলাম জীবনের কাছে বিয়ে দেন। জীবন ও সুমির দুই সন্তানের নাম জুঁই ও সানী। দ্বিতীয় সন্তান সানীর জন্মের সময় আসামি জীবনের স্ত্রী সুমির মৃত্যু হয়। সুমির শেষ ইচ্ছা অনুসারে রাশিদা বেগম দুই নাতি-নাতনিকে তার নিজের কাছে রাখতে আদালতে মামলা করেন। আদালত বাচ্চাদের রাশিদা বেগমের কাছে রাখার আদেশ দেয়। রশিদার আরেক মেয়ে সীমা, তার স্বামী সোহাগ এবং তাদের মেয়ে বন্যাও থাকতেন একই বাসায়। আসামি জীবন বিভিন্ন সময়ে বাচ্চাদের দেখার জন্য শাশুড়ি রাশিদা বেগমের বাসায় যাতায়াত করতেন। ২০১৬ সালের ৪ জুলাই দুপুরে তিনি ওই বাসায় সন্তানদের নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে রাশিদা বেগমকে রাম দা নিয়ে কুপিয়ে জখম করেন জীবন। সীমা ও বন্যা তাকে ঠেকাতে গেলে জীবন তাদেরও কুপিয়ে জখম করেন। জামাতার ওই আক্রমণে রাশিদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে সেদিন বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বন্যা। আর তার মা সীমার মৃত্যু হয় ৬ জুলাই। এ ঘটনায় রাশিদা বেগমের ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন ওই বছরের ৬ জুলাই চকবাজার থানায় জীবনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আসামি জীবন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এই বিভাগের আরও খবর