বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- ওয়ারীতে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে ফের পুরস্কার ঘোষণা
- বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রবাসী ভোটার আবেদন তদন্ত করতে বলল ইসি
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
- সরাইলে পুলিশের কাছ থেকে যুবলীগ নেতাকে ছিনতাই
- আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ইউনিসেফ প্রতিনিধির সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
- বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
- তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
- আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
- শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া
- খসড়া টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ওটিটি ও সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিধান
- মালদ্বীপে প্রবাসীদের জন্য এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমে মতবিনিময় সভা
- যুক্তরাষ্ট্রে মেয়র-গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়জয়কার, চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প
- পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
- আজ বিশ্ব সুনামি সচেতনতা দিবস
- নিউ জার্সির গভর্নর হলেন মিকি শেরিল
- সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
শাশুড়িসহ তিন খুনের দায়ে জামাতার মৃত্যুদণ্ড
আদালত প্রতিবেদক:
অনলাইন ভার্সন
রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগে শাশুড়ি, শ্যালিকা ও ভাগ্নিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একমাত্র আসামি মো. আল ইসলাম জীবনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ঢাকা মহানগরের ৮ নম্বর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মো. মাজহারুল হক সাংবাদিকদের জানান, রায় ঘোষণার আগে কারাবন্দি আসামি জীবনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারো পাঠানো হয়েছে। বাদীপক্ষের ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম ইসলামবাগের বাসিন্দা রাশিদা বেগম, তার মেয়ে সীমা ও নাতনি বন্যাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২০১৬ সালে আসামি জীবনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাশিদা বেগম তার দুই মেয়ের মধ্যে সুমির সঙ্গে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার নূরুল হক সরদারের ছেলে আল ইসলাম জীবনের কাছে বিয়ে দেন। জীবন ও সুমির দুই সন্তানের নাম জুঁই ও সানী। দ্বিতীয় সন্তান সানীর জন্মের সময় আসামি জীবনের স্ত্রী সুমির মৃত্যু হয়। সুমির শেষ ইচ্ছা অনুসারে রাশিদা বেগম দুই নাতি-নাতনিকে তার নিজের কাছে রাখতে আদালতে মামলা করেন। আদালত বাচ্চাদের রাশিদা বেগমের কাছে রাখার আদেশ দেয়। রশিদার আরেক মেয়ে সীমা, তার স্বামী সোহাগ এবং তাদের মেয়ে বন্যাও থাকতেন একই বাসায়। আসামি জীবন বিভিন্ন সময়ে বাচ্চাদের দেখার জন্য শাশুড়ি রাশিদা বেগমের বাসায় যাতায়াত করতেন। ২০১৬ সালের ৪ জুলাই দুপুরে তিনি ওই বাসায় সন্তানদের নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে রাশিদা বেগমকে রাম দা নিয়ে কুপিয়ে জখম করেন জীবন। সীমা ও বন্যা তাকে ঠেকাতে গেলে জীবন তাদেরও কুপিয়ে জখম করেন। জামাতার ওই আক্রমণে রাশিদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে সেদিন বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বন্যা। আর তার মা সীমার মৃত্যু হয় ৬ জুলাই। এ ঘটনায় রাশিদা বেগমের ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন ওই বছরের ৬ জুলাই চকবাজার থানায় জীবনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আসামি জীবন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এই বিভাগের আরও খবর