কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ ঠাকুরপাড়া রামকৃষ্ণ মিশন ও রামকৃষ্ণ আশ্রমে মহাষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাক-ঘণ্টা’র বাদ্য-বাজনা আর ভক্তদের পূজা-অর্চনায় মুখর হয়ে ওঠে কুমিল্লা রামকৃষ্ণ আশ্রম। রবিবার কুমারী পূজাতে দর্শনার্থীদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।
এ বছর কুমারী দেবী হলেন নগরীর ধর্মসাগর পাড় এলাকার চন্দন চক্রবর্তীর একমাত্র মেয়ে জয়ন্তী চক্রবর্তী বৃন্দা। বৃন্দা নগরীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা নগরীর একটি মন্দিরের পুরোহিত। শাস্ত্র অনুযায়ী তার নাম হয়েছে কালসন্দর্ভা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন ও রামকৃষ্ণ মিশন ও রামকৃষ্ণ আশ্রমের সভাপতি শান্তি রঞ্জন ভৌমিক প্রমুখ।
কুমিল্লা রামকৃষ্ণ আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী বিশ্বেশ্বরানন্দ বলেন, মর্তলোকে গিরিরাজ বা হিমালয় কন্যা উমা অসুরদলনী মাহিষাসুরমর্দিণী এবং ভক্তজনের দুর্গতিনাশিনী দুর্গা। তিনি আবার শিবকে পতিরূপে বরণ করে কৈলাসে ঘর-সংসারও পেতেছেন। প্রতিবছর শরৎকালে পুত্র-কন্যা সমভিব্যহারে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে চারটি দিনের জন্য তাকে পিতৃগৃহে বা মর্তে আসতে হয় ভক্তজনের পূজা গ্রহণ করতে। এই চারদিনের একদিন তাকে কুমারীরুপেও পূজা করা হয়। একটি কুমারী কন্যাকে প্রতীক হিসেবে তার পাশে বসিয়ে। দেবী ভগবতী এখানে কুমারী রূপেই অবতীর্ণ।
কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন জানান, পূজার শুরু থেকে দিন রাত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেতন রয়েছি। আশা করি পূজার বাকি দিনগুলোও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব