আলোচিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে আরেক মামলায় তিনদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে জিজ্ঞসাবাদের জন্য রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর মুদ্রা পাচারের মামলায় তাদের চারদিনের রিমান্ড দিয়েছিল আদালত। ওই মামলায় রিমান্ড শেষে রবিবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। একই সঙ্গে রাজধানীর গুলশান থানায় করা অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।
জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো.জাহিদুল ইসলাম, মো.শহিদুল ইসলাম, মো.কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলাম।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিদের ১০টি কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়। আসামিরা তাদের নিজ নামীয় লাইসেন্সকৃত অস্ত্র প্রকাশ্য বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ বৈভবের মালিক হয়। আসামিরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অজুহাতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও মূলত তারা প্রদত্ত অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্র বহন এবং প্রদর্শন করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করেন। সরকারের অনুমোদন ছাড়া অস্ত্রগুলো কোথায় কোথায় ব্যবহার করে অবৈধ সুবিধা, অর্থ, টেন্ডারবাজি করেছেন তার তথ্য জানা, সরকারি অনুমতি ব্যতীত কী কী উদ্দেশ্যে এতগুলো অস্ত্র নিয়ে জনসম্মুখে প্রদর্শন করে ঘুরে বেড়াতো, জব্দকৃত অস্ত্রগুলি ব্যতীত তাদের কাছে আর কোন অস্ত্র আছে কী না, সরকারি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে এ মামলার প্রধান আসামি জি কে শামীমের আরো কে কে তার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করে এবং তাদের কী কী অস্ত্র আছে এসব কারণসমূহের রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ড প্রয়োজন।
এর আগে, ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে জি কে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব। তখন শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব