গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পিয়াজের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বাজারে পিয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকার ওপরে উঠে গেছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর।
ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, পিয়াজের বাজার লাগামহীন। গ্যাসের দাম বাড়ে, বিদ্যুতের দাম বাড়ে! আমরা দেখি আর হায়-হুতাশ করি।
তিনি আরও বলেন, ৪০ টাকার পিয়াজ এখন ১৮০ টাকা। ৫০০ টাকাও হতে পারে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এখানে পিয়াজের দাম বা চালের দাম যদি বাড়ে, সেক্ষেত্রে সরকারের যদি উদাহারণ দেয়া হয়, তবে সরকার যদি কমাতে পারে তবে কমাবে। এখানে সাধারণ জনগণের কিছু করার নেই। বিশ্ববাজারে তেলের দাম যদি কমে তবে বাংলাদেশে তেলের দাম বাড়ে।
ভারতে আমার দেখেছি যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যদি বাড়ে, তবে সাধারণ জনগন রাস্তায় নামে প্রতিবাদ করে। কিন্তু আমাদের এখানে এরকম প্রতিবাদ দেখিনা। সেখানে তো সরকার চাপিয়ে দেবেই। সরকার যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে না পারে তবে তাদের তো আর জবাবদিহি করা লাগছে না। সেক্ষেত্রে সরকার কোন চাপ মনে করে না। কারণ যেখানে দুর্গাপূজার সময় সরকার ভারতে ৫০০ টন ইলিশ উপহার হিসেবে পাঠায়। যেখানে আমরা বেশি দামের কারণে ইলিশ খেতে পারিনা। আর পরের দিনই বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। আমরা নতজানু বন্ধুদের কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
চড় দিলেও চড় খেয়ে হজম করি আমরা। আমরা বলতে পারি না যে, কেন তোমরা নির্দিষ্ট টাইম ছাড়া আগে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলা। আমরা বলি যে, তরকারিতে পিয়াজ খাব না। এই হচ্ছে আমাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি। বন্ধুদের প্রতি এই হচ্ছে আমাদের নতজানু নীতি। যেখানে আমরা প্রতিবাদ করতে পারি না।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন