১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ২১:৩৬

অভিযানে বাড়িতে পাওয়া গেল ৩০০ বস্তা পিয়াজ!

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

অভিযানে বাড়িতে পাওয়া গেল ৩০০ বস্তা পিয়াজ!

ফাইল ছবি

রাজশাহীর বাজারে পিয়াজের মজুদ ভাঙতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ অদালত। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালানো এই অভিযানের প্রথম দিনে মহানগরীর মাস্টারপাড়া এলাকার এক বাড়িতেই ৩০০ বস্তা পিয়াজের মজুদ মিলেছে।

রাজশাহী মহানগর এলাকার ওই আমাদনীকারকের নাম হাসিবুল ইসলাম। তাকে প্রতিদিন ৫০ বস্তা করে পিয়াজ বিক্রির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সোমবার থেকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা করে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্টেট আবু আসলামের নেতৃত্বে রবিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে অভিযানকালে মহানগরীর সাহেব বাজার ও পাইকারি বাজার খ্যাত মাস্টারপাড়া এলাকার অনেক দোকান ও আড়তই ছিল বন্ধ। 

ক্রেতাদের অভিযোগ, এই অভিযান সন্ধ্যায় কেন? ওই সময় এমনিতেই তো অনেক দোকান ও আড়ত বন্ধ থাকে। এছাড়া বিকালে বিক্রি কম থাকায় অভিযানের খবরে অনেকে দোকানমালিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু ও ম্যাজিস্ট্রেট যাওয়ার আগেই দোকান বন্ধ করে চলে গেছেন। 

আর এতদিন ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি পর্যন্ত রাজশাহীর খুচরা বাজারে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। তবে বিমানে পিয়াজ আমদানির খবরে পিয়াজের দাম এখন কমতে শুরু করেছে। সোমবার অভিযানের আগেই রাজশাহীর বাজারে প্রতিকেজি পিয়াজ ২০০ টাকায় নেমে এসেছে। 

বিক্রেতারা বলছেন, বিদেশ থেকে বিমানে আমদানি করা পিয়াজ দেশের বাজারে ঢুকলে দাম আরও কমে যেতে পারে। সেই ভয়ে ২২০ টাকা দরে কেনা পিয়াজ ২০০ টাকাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন।

এদিকে, অভিযানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্টেট আবু আসলাম বলেন, জেলা প্রশাসনের কাছে তথ্য ছিলো যে, একটি সিন্ডিকেট পিয়াজ আমদানি করে তা মজুদ করছে। তারা বাজারে গিয়ে তথ্য পাওয়া সেই জায়গা ঘুরে দেখেন। তবে রাজশাহীর বাজারে পেঁয়াজের সরবারহ তুলনামূলক ভালো। তারা কোনোভাবেই পিয়াজ মজুদ করতে দেবন না।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর সব খুচরা ও পাইকারি বাজারে ক্রয়পত্র দেখে আগামীকাল সোমবার থেকে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাকে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করবেন। এর সাথে বাজারে পিয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসা না পর্যন্ত প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর