কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেছেন, চরাঞ্চলের বিরাট এলাকাজুড়ে চিনাবাদামসহ অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ ফসল আবাদের পরিবর্তে আগামীতে বারি পিয়াজ-১ ও বারি পিয়াজ-৪ আবাদ সম্প্রসারিত হলে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশে পিয়াজের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হতে পারে।
এছাড়া রংপুর অঞ্চলে পানি সাশ্রয়ী ফসল হিসেবে আউশসহ ভূট্টা আবাদ বৃদ্ধিতে যুগোপযোগী কৃষি প্রযুক্তিসমূহ এবং কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকারের প্রণোদনা প্রদান উত্তরাঞ্চলের কৃষিতে সুফল বয়ে এনেছে বলেও তিনি জানান।
শনিবার বিকেলে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি রংপুর অঞ্চলে চলতি মৌসুমে বোরোসহ অন্যান্য আবাদ কার্যক্রম, নিরাপদ সবজি গ্রাম ও নিরাপদ ফল গ্রাম পরিদর্শন এবং অঞ্চলের কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল অফিস প্রধানগণের সাথে এ মতবিনিময় করেন।
কৃষি সচিব বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনের জন্য লাভজনক ও বানিজ্যিক ভিত্তিতে আবাদ এলাকা চিহ্নিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। এতে কৃষকের উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি দেশের কৃষিকে রপ্তানিমুখী করা সম্ভব হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অর্থ ও প্রশাসন উইং-এর পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহআলম এবং রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী। এছাড়া রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক