শহুরে কোলাহল ও ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে প্রিয়জনকে নিয়ে একটু স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটানো যেন— সকলেরই ইচ্ছা। সেই ইচ্ছা পূরণ করে দিচ্ছে অত্যাধুনিক ও প্রিমিয়াম ক্যাফে ‘ক্যাফে লিও’। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আই ব্লকের ১৪ নম্বর রোডে, বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টারসের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি এরইমধ্যে আগত অতিথিদের মন জয় করেছে। এখানে ক্যাফে লিও’র খাবারের মান ও পরিবেশ দেখে মুগ্ধ অতিথিরা।
দৃষ্টিনন্দন সুসজ্জিত এই রেস্টুরেন্টে সুস্বাদু ও মানসম্মত খাবারের পাশাপাশি আগত অতিথিরা সুন্দর পরিবেশ আর স্বাচ্ছন্দ্য পাবেন অনেকখানি। ক্যাফেতে আসা এক অতিথি বলেন, বসুন্ধরাতে আমাদের হাতের নাগালেই এরকম নির্ভরযোগ্য ও প্রিমিয়াম রেস্টুরেন্ট আমাকে মুগ্ধ করেছে। এখানের খাবারের মান যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি পরিবেশটিও আরামদায়ক ও দৃষ্টিনন্দন।
অন্য এক অতিথি জানান, ক্যাফে লিও’র খাবারের মানটা ভালো লেগেছে, এ কারণে আজ আমার একটা স্পেশাল দিনে এখানে এসেছি। আমার কাছে পরিবেশটাও অনেক ভালো লাগছে। এখানের সার্ভিসও অনেক ভালো।
আরেক অতিথি বলেন, পরিবেশটা দারুণ। এখানকার খাওয়ার পরিবেশটা একটা বড় জিনিস। ফ্যান্টাস্টিক খাবার পরিবেশন। ওয়েটারদের অ্যাটায়ার এবং খাবারের কোয়ালিটি চমৎকার। এক কথায় একটা তৃপ্তি আছে এখানে। এখানে হাইজিন মেইন্টেইন করা হয়। সব দিক থেকে চমৎকার।
অন্য এক অতিথি বলেন, পরিবেশটা ভীষণ সুন্দর। অ্যাম্বিয়েন্টটা একটু আলাদা। এখানকার ফার্নিচার এবং খাবার খুবই ভালো লাগলো। বন্ধু-বান্ধবের আড্ডা হোক কিংবা পরিবারের সঙ্গে এক সন্ধ্যার সময় কাটানো, ক্যাফে লিও’তে প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে ওঠে স্মরণীয়। বাচ্চাকে নিয়ে আসা এক অতিথি বলেন, খাবারটা ভালো লেগেছে বলেই এখানে এসেছি। খাবারের মান ভালো, বাচ্চারাও অনেক পছন্দ করে, আমারও ভালো লাগে।
পরিবার নিয়ে ক্যাফে লিও’তে আসা এক ব্যক্তি বলেন, খুবই ভালো লেগেছে। তিনি বলেন, খুবই ভালো লেগেছে। আমরা খুবই উপভোগ করেছি। খাবারটা খুবই টেস্টি, পরিবার নিয়ে মজা করে খাচ্ছি আমরা। ক্যাফে লিও’র খাবারের মেন্যুতে রয়েছে দেশি-বিদেশি নানা স্বাদের খাবার। সবকিছুর মধ্যেই একটি মিল— অসাধারণ স্বাদ আর খাবারের মান।
এ বিষয়ে ক্যাফে লিও’র ম্যানেজার বলেন, আমাদের সিগনেচার খাবার মেক্সিকান স্পাইসি চিকেন। এছাড়া পিজ্জা রয়েছে সেটা খুবই জনপ্রিয়। আমাদের কফি অতিথিরা খুবই পছন্দ করেন। পাশাপাশি কিছু কন্টিনেন্টাল খাবার রয়েছে যেগুলো খুব পছন্দ করেন আমাদের ভোক্তারা। তিনি আরো বলেন, শুরু থেকে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। অতিথিরা উপভোগ করছেন।
বারবিকিউ চিকেন পিজ্জা থেকে শুরু করে পাস্তা কিংবা কফির কাপ প্রতিটি পদেই যেনও— এক টুকরো যত্ন আর ভালোবাসার ছোঁয়া। প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন এই ক্যাফেতে। কেউ আসেন একা সময় কাটাতে, কেউবা প্রিয়জনের সঙ্গে কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিতে। চমৎকার সাজসজ্জা, আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা, আলোছায়ার খেলা আর এক টুকরো সবুজে মোড়া এই জায়গাটা সত্যিই প্রশান্তি এনে দেয়।