আগামী ৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন। এ নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নেই কোনো বিএনপি প্রার্থী।
এদিকে একই দিন ডিএসসিসির ২২ নম্বর ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপিসহ অন্য প্রার্থী না থাকায় এই ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আয়েশা মোকাররম। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, এভাবে নির্বাচনে মাঠ ছেড়ে দিলে সংগঠনে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে না।
নেতারা বলছেন, ২০২৩ সালের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই নির্বাচনকেই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বিএনপি এবং সে লক্ষ্যেই সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। সেজন্য এখন উপ-নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে ভাবছেন না তারা।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি মেয়র ও ৭৫টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ডিএসসিসির ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জিন্নাত আলী এবং ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে শফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হন। এর মধ্যে গত ২১ মে শফিকুল ইসলাম এবং গত ৪ জুলাই জিন্নাত আলী মারা যান। তারা মারা যাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী ওয়ার্ড দুটির কাউন্সিলর পদ শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয় নির্বাচন কমিশন। এজন্য গত ২ সেপ্টেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা (সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, ঢাকা) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (থানা নির্বাচন অফিসার, সবুজবাগ) এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৭ অক্টোবর সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে সেখানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২২ নম্বর ভোটার সংখ্যা ৫৯ হাজার। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের চার নেতা কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। পরে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আয়েশা মোকাররম। তিনি এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
এদিকে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডটিতে ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৬০০। ২১ মে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মারা গেলে এ ওয়ার্ডেও নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে ইসি। আসন্ন উপ-নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াত শফিকুলের ভাই নজরুল ইসলাম। তার নির্বাচনী প্রতীক করাত। অবশ্য আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন মো. জিয়াউল হক (রেডিও)। এছাড়া ওয়ার্ডটিতে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে উজ্জ্বল (লাটিম) ও মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (ঠেলাগাড়ি) নামে আরও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
দুই ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকা প্রসঙ্গে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবো না। এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। এখন নির্বাচন মানে টাকার অপচয়। মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায় না। তাই প্রার্থিতা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল