গ্রীষ্ম আসতে না আসতেই বরিশাল অঞ্চলের নদ-নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে দক্ষিণের নৌ রুটগুলো হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর নৌপথের নাব্যতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিএ)।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নদী বন্দরে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়।
সংস্থার ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে আসা প্রচুর পলি জমে দক্ষিণের নৌপথগুলোর নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। শুষ্কতা মৌসুম না আসতেই বরিশালের বিভিন্ন নৌ পথের ৩০টি পয়েন্টে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে নৌযানগুলোকে।
নৌপথগুলো নিরাপদ করতে বরিশাল নদী বন্দর, পটুয়াখালী নদী বন্দর ও বরগুনা নদী বন্দর এলাকাসহ লোহালিয়া ও কারখানা নদী এবং গলাচিপা, রাঙ্গাবালী, মেঘনা নদীর পাতারহাট পয়েন্ট, কালাবদর নদীর লাহারহাট-ভেদুরিয়া পয়েন্ট, কারখানা নদী, ভোলা খাল ও নাজিরপুর সংলগ্ন নদীসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৩০টি পয়েন্টে ড্রেজিং করা নদীর নাব্যতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৩০টি পয়েন্টে মোট ২১ লাখ ঘনফুট পলি ড্রেজিং করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তারা।
তিনি আরও জানান, গত সপ্তাহে পটুয়াখালী নদী বন্দর এলাকায় ড্রেজিং শুরু হয়েছে। বরিশাল নদী বন্দরেও একটি ড্রেজার এসেছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে কীর্তনখোলা নদীর বরিশাল নদী বন্দর এলাকায় ড্রেজিং শুরু হবে। অক্টোবরে শুরু হওয়া এই ড্রেজিং কার্যক্রম আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ড্রেজিং শেষ হয়ে গেলে দক্ষিণের নৌপথগুলোর নাব্যতা বাড়বে এবং এতে নৌ চলাচল নিরাপদ হবে বলে আশা করেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান।
এসময় বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিভিন্ন নৌযানের মাস্টারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই