১৬ আগস্ট, ২০২২ ১৬:১২

নৌ পথে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

নৌ পথে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির পরই সব ধরনের গণপরিবহনে আদায় করা হয় অতিরিক্ত ভাড়া। এর উপর মঙ্গলবার সরকার লঞ্চ ভাড়া ৩০ ভাগ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করায় ক্ষুব্ধ নৌ পথের যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে লঞ্চে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে নদী বেষ্টিত এলাকার মানুষের। তাদের দাবি, ৩০ ভাগেরও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে নৌ পরিবহনে। ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনবিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তারা। ৩০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি করা হলেও এর চেয়ে কম ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে দাবি নৌযান শ্রমিকদের। এতে লঞ্চ ব্যবসা আরও ঝুঁকিতে পড়েছে বলে আশংকা লঞ্চ মালিকদের। 

করোনাকালের আগে দেশের প্রধান নৌ রুট বরিশাল থেকে ঢাকা লঞ্চে ডেক যাত্রী ভাড়া ছিলো ২৫৫ টাকা। করোনাকালে শারীরিক দূরত্ব মেনে কম যাত্রী নেয়ার শর্তে ডেক ভাড়া এক লাফে ৯৭ টাকা বাড়িয়ে ৩৫২ টাকা নির্ধারন করে সরকার। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ার পর লঞ্চে গো গাদানী করে যাত্রী নেয়া হলেও ভাড়া কমায়নি কর্তৃপক্ষ। এর উপর সরকার লঞ্চ ভাড়া ৩০ ভাগ বৃদ্ধি করায় বরিশাল-ঢাকা নৌপথে একজন যাত্রীকে অতিরিক্ত গুনতে হবে ১০৫ টাকা। অর্থাৎ এখন থেকে বরিশাল ঢাকা নৌ পথে সর্বনিম্ন ডেক যাত্রী ভাড়া ৪৫৭ টাকা। 

সড়ক পথে ভাড়া বেশী। আগে কম ভাড়ার কারনে নৌ পথে বেশীরভাগ যাত্রী চলাচল করতো। কিন্তু নতুন হারে সাড়ে ৪শ’ টাকা ভাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের লঞ্চের ডেকে ঢাকা-বরিশাল যাতায়াত করা দুরুহ হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। 

এদিকে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির পরপরই স্থানীয় ও অভ্যন্তরীন রুটের লঞ্চে আদায় করা হতো অতিরিক্ত ভাড়া। সরকারী প্রজ্ঞাপনে বৈধতা পেল তারা। স্থানীয় রুটে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশী ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধি করায় নৌ পথের যাত্রীরা আর্থিক চাপে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। জনজীবন সহনীয় করতে তারা লঞ্চ ভাড়া কমানোর দাবী জানিয়েছেন। 

স্থানীয় রুটের একটি লঞ্চের দ্বিতীয় শ্রেনীর মাস্টার সিদ্দিকুর রহমান জানান, সরকার ৩০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি করলেও এর চেয়ে কম ভাড়া আদায় করছেন তারা। 

বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আজিজুল হক আক্কাস জানান, লঞ্চে সরকারের নতুন নির্ধারিত ভাড়া নেয়া হয় না। নিম্নবিত্ত যাত্রীরা যে যা ভাড়া দেয় সেটাই নেয়া হয়। পদ্মা সেতু চালুর পর নৌ পথে এমনিতেই যাত্রী কমেছে। এর উপর ৩০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি করায় নৌ পথে নেতিবাঁচক প্রভাব পড়বে বলে আশংকা করেন প্রবীন লঞ্চ ব্যবসায়ী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আক্কাসের। 
৩০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপনের পর চতুর্থ শ্রেনীর ডেক যাত্রী ভাড়া বাড়লেও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর যাত্রীদের ভিআইপি, বিজনেস ক্লাস এবং কেবিনের ভাড়া আগের দরেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের কেরানী মো. সুজন। 

বিডি প্রতিদিন/এএ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর