রংপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বর্ণ শ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন নিহতের ঘটনায় জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার বাদী হয়ে রংপুর কোতয়ালী মেট্রো থানার কগনিজেন্স ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার আসামি হলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুসাইন মো. রায়হান, আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, সাবেক এমপি নাছিমা জামান ববি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, সাবেক এমপি আশিকুর রহমান, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ আরও অনেকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোফাজ্জল হোসেন বকুল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আসামিদের ছোড়া গুলি মিলনের বুকে লাগলে তিনি তাৎক্ষণিক মাটিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল