বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী জিম আহত হওয়ার ঘটনায় ৪৬ জনের নামে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতয়ালী আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন জিমের বাবা নগরীর কলেজ রোড শান্তিবাগের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি, পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাসহ অজ্ঞাত দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত মামলাটিকে এজাহার হিসেবে রেকর্ডের জন্য মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানাকে নির্দেশ দিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আলাউদ্দিন।
মামলার আসামী হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, তাজহাট থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোে রশনের কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ রাব্বী, আওয়ামী লী নেতা জাকারিয়া মাস্টার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সিরাজুম মুনির বাশার, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন মিয়া, যুবলীগ নেতা বাবু, যুবলীগ কর্মী তুষার, সোহেল, বিটুল মিয়া, আওয়ামী লীগ কর্মী মারফত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা ভুট্টু মিয়া, যুবলীগ নেতা নয়ন মিয়া, তাঁতী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মারুফ হোসেন, যুবলীগ নেতা মো. লিয়াম, মো. মমিন, নুরু মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান লিটু,আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল আলম বাবু, নগরীর বালাপাড়ার আশরাফুর আলম আংগুর, ফতেপুরের যোগিন, আলহাজনগরের প্রিন্স, সূত্রাপুরের রুহুল আমিন, আক্কেলপুরের জিকরুল হাসান রাজু, ভূরারঘাটের নাজিম উদ্দিন, তিনঘরিয়ার ওসমান আলী, আক্কেল পলমারীটারীর আলম মিয়া, হরিরামপুরের মিঠুন চৌধুরী, আশরতপুরের সাদেকুল, দেওডোবার রফিউল ইসলাম রাফি, আশরতপুরের জিকরুল মাহবুব শোভন, গঙ্গাচড়া উপজেলার দক্ষিণ কোলকোন্দের রেজাউল ইসলাম রতন।
মামলা বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকালে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উপর আসামিরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র, রাইফেল বন্দুক, সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালায়। এতে রংপুর সরকারি কলেজের ছাত্র জিম চোখের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে আন্দোলনকারীরা তাকে উদ্ধার করে অটোভ্যানে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে দু’দিন চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে বন্দুকের গুলির অংশ চোখ থেকে বের করতে না পারায় জিমের চোখের আলো নিভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ