শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ১২৬ জনের বিরুদ্ধে আপত্তি!

রাজশাহী মহানগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হওয়ার পরই সংশ্লিষ্টরা ভাতা পান। তবে গেজেট নিয়মিত করার সুপারিশ পাননি রাজশাহী মহানগর এলাকার ১২৬ জন। এদের মধ্যে ৮৪ জনের আবেদন সরাসরি নাকচ হয়েছে। ২৬ জন গেজেট নিয়মিত না করার কারণে তাদের ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়নি। আটজনের ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্ত আসায় গেজেট নিয়মিত করার সুপারিশ করা হয়নি। এর বাইরে আরও আটজনের ব্যাপারে অধিকতর যাচাই করে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলকে (জামুকা) সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে কমিটি। বাকি ৩৪ জনকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট নিয়মিত করারও সুপারিশ করা হয়েছে। এই তালিকা বুধবার রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে। ১৬০ জনের ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কমিটি ১৬ ফেব্রুয়ারি সুপারিশসহ প্রতিবেদন জামুকায় পাঠিয়েছে। গত ৬ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে এই যাচাই-বাছাই শুরু হয়। চার সদস্যের কমিটির সভাপতি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা। সদস্য সচিব ছিলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক। অন্য দুই সদস্য হলেন রাজশাহীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এস মনিরুল ইসলাম। সদস্য সচিব বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির জন্য ৩৩ ধরনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ প্রয়োজন। এর মধ্যে জামুকার সুপারিশও প্রয়োজন। কিন্তু রাজশাহী মহানগরীর ৫৫২ জন ভাতাভোগীর মধ্যে ১৬০ জনের ব্যাপারে জামুকার সুপারিশ ছিল না। এ কারণে তাদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করতে বলা হয়। জামুকার নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

এদিকে, সরাসরি নামঞ্জুর হওয়া ১১০ জনের মধ্যে ৮৪ জন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের গেজেটে নিয়মিত করার জন্য আবেদন করেছিলেন। বাকি ২৬ জন আবেদনই করেননি। তারা যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে হাজিরও হননি। ৮৪ জনের আবেদন যাচাই শেষে নামঞ্জুর করা হয়েছে।

আবেদন নামঞ্জুর হওয়াদের মধ্যে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের নামও আছে। ওই তালিকায় তার ক্রমিক নম্বর-৮৫। আবেদন বাতিলের তালিকায় আরও আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কামরুল মনির, বিএনপি নেতা এরশাদ আলী ঈশা, নূর মোহাম্মদ পেনু, অ্যাডভোকেট অঙ্কুর সেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র রেজাউন নবী দুদু প্রমুখ। আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে নূর কুতুব আলম মান্নান বলেন, ‘এতদিন পর বাতিল হয়ে গেলে কী করবেন। আমি তো মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক কাজ করেছি। ২০০৬ সালের দিকে গেজেটভুক্ত হয়েছি।’ যাচাই-বাছাইকালে মহানগরীর যে আটজনের ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া গেছে তারা হলেন, মৃত নজিবর রহমান, মৃত হিসাব উদ্দীন আহমেদ, রুহুল আমিন প্রামাণিক, বদরুল আলম, আবদুল আজীজ, মজিবুর রহমান, মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন এবং সারওয়ার ই-কামাল স্বপন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর