সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কিট সংকটে রাজশাহীতে র‌্যাপিড পরীক্ষা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী নগরীতে গত ৬ জুন থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়। পথচারীসহ নগরবাসীর মাঝে করোনার সামাজিক সংক্রমণের হার চিহ্নিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছিল সিটি করপোরেশন। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। প্রথমে পাঁচটি পয়েন্টে শুরু হলেও পরে পয়েন্ট বাড়ানো হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বন্ধ আছে। পরীক্ষা করাতে এসে মানুষ ফিরে যাচ্ছেন। কিট সংকটের কারণে পরীক্ষা বন্ধ। গতকাল নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে বুথে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুল আওয়াল (৪০)। তিনি এই বুথে গত ১৯ জুন পরীক্ষা করিয়েছিলেন। র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। তিনি বেলদারপাড়া এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন। আওয়াল বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে এই বুথের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু এখানে কেউ নেই। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। তারা চলে গেছেন।’

তার চাকরিতে যোগদান করা জরুরি। করোনা নেগেটিভ ফল পেলে তিনি যোগদান করতে পারেন।

একই বুথে মাকে নিয়ে নগরীর হোসনীগঞ্জ এলাকা থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন মো. জুবায়ের (৩০)। তিনিও এর আগে করোনা পরীক্ষা করিয়ে পজিটিভ ফলাফল পেয়েছিলেন। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। তার মায়েরও করোনা পরীক্ষা করাতে চান তিনি।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, তারা রাজশাহী নগরীর প্রায় ২০ হাজার মানুষের পরীক্ষা করিয়েছেন। কিট শেষ গেছে বলে পরীক্ষা গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ আছে। কিটের জন্য তারা সিভিল সার্জন দফতরে চিঠি দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন নগরীতে কঠোর লকডাউন চলছে। মানুষ ঘরে থেকে জ্বরের চিকিৎসা নিলে এমনিতেই সেরে উঠবেন। জ্বর নিয়ে বাইরে বের হলে আরও অনেকের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, কিটের ঘাটতি থাকায় রাজশাহী নগরীতে আপাতত র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বন্ধ আছে। তবে রাজশাহী জেলার উপজেলাগুলোতে কিট থাকায় পরীক্ষা চলছে। তারা কিটের চাহিদা ঢাকায় পাঠিয়েছেন। শিগগিরই কিট পাওয়ার আশা তার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর