কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১৫৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। এই ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক এস এম খালিদ সাইফুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। দুদক বলছে, প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে আঁতাত করে প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রকল্প পরিচালক। এ ঘটনায় গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ একটি মামলা করেছেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী।
তবে মামলায় বলা হয়েছে, কাজ না করেই প্রায় ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন প্রকল্প পরিচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তকালে ঘটনার সঙ্গে অন্য কারোর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। মামলার আসামিরা হলেন- প্রকল্প পরিচালক এস এম খালিদ সাইফুল্লাহ, উপ-প্রকল্প পরিচালক অনন্ত সরকার, মাল্টিবীজ ইন্টারন্যাশনাল নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. ইকবাল হোসেন, শহিদুল্লাহ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মুনির উদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুজ্জামান এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. গোলাম কবীর।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানান, আসামিরা উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর প্রকল্পের ৩০ হাজার ৬১৭ বর্গফুটের ছয় তলা ভবনের নির্মাণকাজের পাইলিংয়ের কাজ শুরুর পরই সিভিল ওয়ার্কের ১৯ কোটি টাকার মধ্যে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৭ টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাল্টিবীজ ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। যা প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর নেওয়ার কথা ছিল।