খুলনায় বিএনপি নেতা বাবুল কাজীকে হত্যার অভিযোগে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন, খুলনা সদর থানার তদানিন্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক মো. মনিরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে মাথায় পুলিশের লাঠির আঘাতে বাবুল কাজী নিহত হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
খুলনা অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আনিচুর রহমান অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী তৌহিদুর রহমান তুষার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত বাবুল কাজী খুলনা নগরীর শিপইয়ার্ড ইসলামপাড়া ক্ষেত্রখালী খালপাড় রোডের বাসিন্দা ও ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুর প্রায় তিন বছর পর মামলা দায়ের করা হয়।
জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মার্চ খুলনার কেডি ঘোষ রোড এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন চলাকালে পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হন বাবুল কাজী। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় নেতাকর্মীরা খুলনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক তাকে ভর্তির পরামর্শ দিলেও গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে তাকে অন্যত্র রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১১ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আইনজীবী তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।