সব সময় এই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য বাদুড়ই দায়ী এমনটা নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
২০০৩-এ যে সার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে, বাদুড় ছাড়াও ওই ভাইরাসের উৎস হিসেবে বিড়ালকেও দায়ী করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ২০০০ সালে যে মার্স ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল উটের শরীরে। মূলত পশুদের থেকে মানবদেহে এই ভাইরাস সংক্রামিত হয়। সেজন্য বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসগুলোকে ‘জুনোটিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ভাইরোলজিস্ট তাই বলেছেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে বাদুড়ের যোগ পাওয়া গেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
চীনে বাদুড় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই গবেষণা চলছে। গত বছরে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বিজ্ঞানীরা একটি পর্যবেক্ষণের পর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ভাইরাস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে করোনা। এবং সে ক্ষেত্রে হটস্পট হিসেবে উঠে আসতে পারে চীন। কিন্তু কখন, কোথায় এই ভাইরাস হানা দেবে সে বিষয়টি খুঁজে বার করে তা সংক্রমণ ঠেকানোই ছিল তাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে বিজ্ঞানীরা এটাও বলছেন, উহানে করোনা ভাইরাস যে বাদুড় থেকেই এসেছে সেটা এতো তাড়াতাড়ি বলে দেয়া সম্ভব নয়। মাঝে কোনও বাহক ছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। সামুদ্রিক জীব বিক্রি হয় এমন বাজার থেকে করোনা ভাইরাসের আমদানি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু এর আসল উৎস নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তা নিয়েই বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।
চীনের সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল-এর এক বিজ্ঞানী এ প্রসঙ্গে দাবি করেন, যে সময় উহানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়, সে সময় সামুদ্রিক জীবের বাজারে কোনও বাদুড় বিক্রি হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এই ভাইরাসের মূল উৎস কী? এখন তারই সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত