বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সোমবার পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯০৮ জন, যা সার্সের ভয়াবহতাকেও ছাড়িয়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়ানো এ ভাইরাসের নতুন নামকরণ করা হয়েছে 'নোবেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া'।
২০০২-০৩ সালে সার্সে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮,১০০ জন। নভেল করোনাভাইরাস সার্সেরই নতুন সংস্করণ। এই করোনাভাইরাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তাই এখন প্রশ্ন উঠছে কোথায় গিয়ে থামবে এই মৃত্যুর মিছিল!
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখছে না চীনা সরকার। এখনও পর্যন্ত ১৬টি শহরে কোয়ারেন্টাইন জারি হয়েছে। এছাড়া রাতারাতি বিশাল হাসপাতাল বানিয়ে ফেলা থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া, সব দিকেই কড়া নজর রয়েছে সে দেশের কমিউনিস্ট সরকারের। শহরের বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। তারা পথচারীদের থামিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, বেজিংয়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরে ঢোকা-বেরোনোর উপরে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। চীনা নববর্ষের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও অসংখ্য প্রবাসী চীনে ফিরে যেতে পারছেন না।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম