সিলেটে করোনাভাইরাস সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি দুবাই ফেরত যুবক বাড়ি ফিরেছেন। তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব না পাওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদিকে, গত রবিবার বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিনজন রোগী সনাক্ত হওয়ার পর সিলেটে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার আগাম ব্যবস্থা হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুটি হাসপাতাল। প্রয়োজনে আরও একটি হাসপাতালেও কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিলেটের সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় রবিবার রাতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেলে তাদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ইউনিট হিসাবে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতাল ও ২০ শয্যার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল নির্বাচন করা হয়। প্রয়োজনে খাদিমপাড়াস্থ ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হযরত শাহপরাণ (রহ.) হাসপাতালও করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতাল ও সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
সভায় করোনা ঠেকাতে জনসচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশন, জেলার সকল পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত লিফলেট ছাপিয়ে জনসাধারণের মধ্যে তা বিতরণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে, করোনাভাইরা সনাক্ত না হওয়ায় গত রবিবার শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি দুবাইফেরত প্রবাসী কানাইঘাটের যুবক বাড়ি ফিরেছেন। চিকিৎসকরা তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার