১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:২২

করোনাভাইরাস: চট্টগ্রামে এখনও আক্রান্তের শীর্ষে তরুণরা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাস: চট্টগ্রামে এখনও আক্রান্তের শীর্ষে তরুণরা

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর আক্রান্তদের মধ্যে শীর্ষে ছিল তরুণরা। কিন্তু প্রায় ১০ মাস পর এখনও তরুণরাই আক্রান্তের শীর্ষে। সর্বশেষ গত ১৫ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনেও তরুণরা আক্রান্তের শীর্ষে, ২৪ শতাংশ। তাদের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২০ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বয়স ভিত্তিক পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা- ২৮ শতাংশ, ২৮ জুনে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে ছিল ২৬ শতাংশ, গত ১৫ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে ছিল ২৪ শতাংশ। 

গত ১৫ জানুয়ারি প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায় শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী আক্রান্ত হয় ২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী আক্রান্ত হয় ৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বয়সী আক্রান্ত হয় ২০ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী আক্রান্ত হয় ২৪ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী আক্রান্ত হয় ১৯ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী আক্রান্ত হয় ১৫ শতাংশ এবং ৬০ এর ঊর্ধ্ব বয়সী আক্রান্ত হয় ১২ শতাংশ।  

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সেই মে-এপ্রিল থেকেই তরুণরাই বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয়ে আসছেন। এখনো সে ধারা অব্যাহত আছে। তবে সংক্রমণ আগের তুলনায় কমছে।  

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট করোনাভাইরাস গবেষক ডা. এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী বলেন, ‘অন্যদের তুলনায় ইয়াং জেনারেশন চাকরি বা ব্যবসার কারণে বাইরেই বেশি অবস্থান করে থাকেন। ফলে তাদের অনেক সময়   সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা না করা, প্রয়োজনীয় সময় ও স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা না থাকা, কিংবা বাইরে কারও কাছ থেকে সংক্রমণ হওয়াসহ নানা কারণে তরুণরা বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে।

তাছাড়া অনেক তরুণদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকার কারণে অনেকের মধ্যে ‘ডেম কেয়ার’ ভাব দেখা যায়। তবে এ বিষয়ে এখনও পৃথক বিশেষ কোনো গবেষণা করা হয়নি।’ তিনি বলেন, আক্রান্ত বেশি হলেও তরুণদের অন্য বয়সীদের তুলনায় রোগ  প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় মৃত্যুর হার কম। এটা একটা ইতিবাচক দিক।’   

জানা যায়, গত শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয় ৩২ হাজার ১২ জন। এর মধ্যে মহানগরে ২৪ হাজার ৯১১ জন এবং ১৫ উপজেলায় ৭ হাজার ১০১ জন। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৩৬৬ জন। এর মধ্যে মহানগরে ২৬৬ জন ও উপজেলায় ১০০ জন। ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২৫ হাজার ৯৯০ জন।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

সর্বশেষ খবর