ফের মিউটেশন ঘটিয়ে চরিত্র বদলাচ্ছে করোনাভাইরাসের ব্রিটেন স্ট্রেন। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ঘন ঘন চরিত্র বদলানো এই স্ট্রেনকে ঠেকাতে বাজার চলতি ভ্যাকসিনগুলি কার্যকর না-ও হতে পারে। এমনকি ব্যর্থ হতে পারে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিও। নতুন মিউটেশন ঘটানো ব্রিটেন স্ট্রেনটিকে ই৪৮৪কে নামে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আগের স্ট্রেনগুলির তুলনায় এই স্ট্রেনের সংক্রমণ ক্ষমতা বহু গুণ বেশি হওয়ায় ঘুম নেই ব্রিটেনসহ গোটা বিশ্বের। তাই যে ভাবেই হোক সংক্রমণ রুখতে মরিয়া ব্রিটেন সরকার।
ইংল্যান্ডের যে আটটি এলাকায় ব্রিটেন স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছিল, সেখানে মঙ্গলবার থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে করোনা পরীক্ষা চালু করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই এলাকার বাসিন্দাদের সামাজিক মেলামেশা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক বলেন, কড়া হাতে তারা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে চান। প্রতিটি সংক্রমণের উৎস খুঁজে বার করাই লক্ষ্য। উপসর্গ থাকুক বা না-থাকুক, ১৬ বছরের বেশি সকলের বাধ্যতামূলক পরীক্ষা করানো হবে।
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ থাকলে বা সংক্রমিতের সংস্পর্শে এলে, যাতে ঘরে বসে নিজেই নিজের করোনা পরীক্ষা করতে পারেন, তার জন্য অস্ট্রেলিয়ার একটি সংস্থাকে ৮৫ লাখ র্যাপিড টেস্ট কিটের দায়িত্ব দিল আমেরিকা। সোমবার হোয়াইট হাউস এ কথা জানিয়েছে।
এ মুহূর্তে বিশ্বে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। যত দিন যাচ্ছে, সেখানে উপসর্গহীন রোগী তত বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই সকলের নাগালে র্যাপিড টেস্ট কিট আনতে চাইছে সদ্য ক্ষমতায় আসা জো বাইডেনের প্রশাসন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন