জাতীয় পুষ্টিসেবার দ্রুত বাস্তবায়নের উপর একটি উচ্চ র্পযায়ের ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি মিটিং রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার জনাব বেনোয়া প্রিফোন্টেইন, ইউনিসেফ-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জনাব এডোয়ার্ড বেইবেদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেল্থ সার্ভিস ডিভিশনের সচিব জনাব মোহাম্মদ সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ ডিভিশনের সচিব মো: সিরাজুল ইসলাম, ডিরেক্টর জেনারেল হেল্থ সার্ভিস (উএঐঝ)-এর ডিরেক্টর জেনারেল প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোক্সানা কাদের, ইউনিসেফ-এর চীফ নিউট্রিশন অনুরাধা নারায়ণ, ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিস প্রকল্প-এর লাইন ডিরেক্টর ও ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেল্থ নিউট্রিশন-এর ডিরেক্টর ড. এবিএম মাজহারুল ইসলাম, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফ্যামিলি প্লানিং (ডিজিএফপি)-র ডিরেক্টর জেনারেল ড: কাজী মুস্তাফা সারওয়ার, আইসিডিডিআরবি-র সিনিয়র রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর এসকে মাসুম বিল্লাহ, ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেল্থ নিউট্রিশন-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার এসএম মুস্তাফিজুর রহমান সহ বিভিন্ন দাতাসংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ।
জাতীয় পর্যায়ের এই অ্যাডভোক্যাসি মিটিং বাংলাদেশ সরকারের সাথে যৌথভাবে আয়োজন করেছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ, সেই সাথে ছিলো প্রকল্প বাস্তবায়নের অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ: চিলড্রেন্স ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেইটস ফাউন্ডেশন।
উক্ত অনুষ্ঠানে মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় পর্যায়ে পুষ্টিসেবা পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে সকল পৃষ্ঠপোষকগণকে সমবেতভাবে এগিয়ে যাবার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং জাতীয় পুষ্টিসেবা দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে প্রতিটি নারী ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। ইউনিসেফ-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জনাব এডোয়ার্ড বেইবেদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত পৃষ্ঠপোষকবৃন্দকে “পুষ্টির জন্য ঐক্যবদ্ধ” হওয়ার স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলের যৌথ প্রয়াসে ২০২৫ সালের মধ্যে ১৬ লক্ষ শিশুকে অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে বাঁচানোর আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে এখনো প্রতি তিনজনে একজন শিশুর সঠিক বিকাশ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা তাদেরকে বেঁচে থাকার অধিকারসহ শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। যার পরিণতিতে আমরা মেধাভিত্তিক সক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সালে জাতীয় পুষ্টিসেবা বা এনএনএস কার্যক্রম শুরু করে। এই কার্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে মা ও শিশুর পুষ্টিসেবা যেখানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে মায়ের গর্ভকাল থেকে শিশুর বয়স ২ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত সময়কালকে বা শিশুর জীবনের প্রথম ১,০০০ দিনকে যা কিনা পুষ্টিসেবা কার্যক্রমের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার