নারী স্বাস্থ্যের গবেষণায় একসাথে কাজ করবে টেলিনর গ্রুপের ডিজিটাল হেলথ সাবসিডিয়ারি টেলিনর হেলথ এবং বেসরকারী সংস্থা শক্তি ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি এই দুটি সংস্থা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক মেডিক্যাল টেকনোলজি ফোরাম ২০১৯-এ অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশের ৭ম বৃহত্তম ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে শক্তি ৫৪ জেলার ৫ লাখ ২০ হাজার ৮শ’ ৩৪টি দরিদ্র পরিবারের তালিকা তৈরি করেছে এবং প্রতিষ্ঠানটির গ্রামের দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করার সামর্থ্য রয়েছে।
সারা বাংলাদেশে শক্তি ফাউন্ডেশন ৪১৬ শাখা নিয়ে গত ২৭ বছর ধরে ক্ষুদ্রঋণ, হেলথ, এসএমই ও সৌর আলো-এর মতো কর্মসূচির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে। টেলিনর হেলথ এবং শক্তি ফাউন্ডেশন গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নতুন স্বাস্থ্যসেবা গড়ে তুলতে উন্নয়ন ও গবেষণার কাজ করছে।
‘ডিজিটাল হেলথ কেয়ার ইনোভেশন্স- ইমপ্রুভিং হেলথ একসেস ফর দ্য রুরাল অ্যান্ড লোয়ার ইনকাম পপুলেশন্স’ শীর্ষক একটি সেমিনারে টেলিনর হেলথ তাদের ডিজিটাল হেলথ কেয়ার উদ্ভাবনসমূহ এবং কীভাবে গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে। এছাড়া টেলিনর হেলথ এবং বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান শক্তি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনে কীভাবে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে তা নিয়েও আলোচনা করে।
টেলিনর হেলথ-এর কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে তারা বাংলাদেশের স্বনামধন্য নিরাপত্তা সমাধান প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এলিট ফোর্সের সাথে কাজ করছেন। এর মাধ্যমে সারাদেশে ২০ হাজার নিরাপত্তারক্ষীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়, যা তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে এবং সুস্বাস্থ্য অর্জনে সহায়তা করছে।
অ্যামাজন, প্রটেক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের কর্মকর্তারাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রিপোর্টাররা এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখার অঙ্গীকার করার জন্য টেলিনর হেলথের এই উদ্যোগের প্রশংসাও করেন। এ ধরনের উদ্যোগ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে, যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল