৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:১৮

দেশে ‘স্প্যান প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট’ টাওয়ার স্থাপন করলো ইডটকো বাংলাদেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

দেশে ‘স্প্যান প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট’ টাওয়ার স্থাপন করলো ইডটকো বাংলাদেশ

স্টিলের বিকল্প হিসেবে কংক্রিট ব্যবহার করে দেশে প্রথমবারের মতো ‘স্প্যান প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট’ (এসপিসি) টাওয়ার স্থাপন করলো সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘ইডটকো বাংলাদেশ’। টাওয়ার ব্যবস্থাপনায় ‘এন্ড টু এন্ড’ সুল্যশন প্রদানকারী কোম্পানিটি গতকাল বুধবার মানিকগঞ্জ সদরে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনীমূলক এই টেলি-অবকাঠামোটি স্থাপন করেছে।   

ইডটকোর নিজস্ব প্রকৌশলীদের নকশাকৃত অভিনব এই কাঠামোটি মূলত: স্টিল ও কংক্রিটের এক অনন্য সংমিশ্রণ। টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে এরকম ‘কম্পোজিট স্ট্রাকচার’ বাংলাদেশে এবারই প্রথম। প্রায় ৩৩.৩ মিটার উচ্চতার নান্দনিক এই এসপিসি টাওয়ারটি তুলনামূলকভাবে বেশি স্থিতিশীল, যা আরও ভালো নেটওয়ার্ক সংযোগ নিশ্চিত করে। তাছাড়া এতে উৎপাদন সময়ও কম লাগে।

সঠিকমাত্রায় দৃঢ়তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি টাওয়ারের প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই এসপিসি পোলটির ভেতরে প্রসারণযোগ্য স্টিলের তার ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ভারী বৃষ্টিপাত, ঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়েও পোলটি নিরবিচ্ছিন্নভাবে নেটওয়ার্ক সংযোগ প্রদান করতে পারবে। এছাড়া স্টিলের বিকল্প হিসেবে কংক্রিটের ব্যবহার টাওয়ারটির নান্দনিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 

নতুন এই উদ্ভাবন সম্পর্কে ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন বলেন, ‘এদেশে ‘টেকসই টেলিযোগাযোগ পরিমণ্ডল’ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ইডটকো বাংলাদেশ। এ খাতে গ্রাহকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ সুবিধা গড়ে তুলতে আমাদের মেধাবী প্রকৌশলীরা এমন সব অভিনব সুল্যশন বের করেছে, যেগুলো একাধারে পরিবেশবান্ধব, উচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী। সারাদেশে টেকসই ও শেয়ারযোগ্য অবকাঠামো স্থাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি, এসপিসি টাওয়ার স্থাপনের এই পদক্ষেপটি তারই ফসল।’
  
এ বক্তব্যের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ইডটকো গ্রুপ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর আবদুল ইয়াজিদ কাসিম বলেন, ‘ইডটকো টেকসই অবকাঠামো ডিজাইনের মাধ্যমে, ইস্পাতের উপর আমাদের নির্ভরশীলতা এবং পরিবেশের উপর প্রভাব কমাতে বিকল্প উপকরণ ব্যবহার করে চলেছে। বাংলাদেশ এ ধরনের উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রাখছে এবং এসপিসি টাওয়ার স্থাপনের মাধ্যমে সবুজ কর্মসূচি, উদ্ভাবন এবং টেকসই ও পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ শিল্পের সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে ইডটকো গ্রুপের যে অঙ্গীকার, সেটাকে আরও শক্তিশালী করেছে।’ 

বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নানান ধরনের টেকসই টাওয়ার সুল্যশন উদ্ভাবন করে যাচ্ছে ইডটকো। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, ২০১৯ সালে ‘সেন্টার অব ডিজাইন এক্সিলেন্স’ প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে টেলি-অবকাঠামোখাতের ওপর গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে এ অঞ্চলের প্রকৌশলীরা একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি এটি স্থানীয় পর্যায়ের প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও দারুণ ভূমিকা রাখছে।  

এছাড়া দেশের টেলি-অবকাঠামো খাতে প্রথমবারের মতো “ব্যাম্বু টাওয়ার” (বাঁশ দিয়ে তৈরি টাওয়ার) স্থাপন, আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী টাওয়ার, হাইব্রিড সোলার উইন্ড টাওয়ার, স্মার্ট মাল্টিপারপাস পোল সহ অভিনব অনেক উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছে ইডটকো। টাওয়ার শিল্পে প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি টাওয়ার পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধি, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং সর্বোপরি দেশজুড়ে নির্বিঘ্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ইডটকো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর