দেশের ছয় জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গতকাল বিভিন্ন সময় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- রংপুর : জেলার তারাগঞ্জের বাছুরবান্ধায় নাইট কোচ-অ্যাম্বুলেস সংঘর্ষে তিন যাত্রী নিহত এবং শিশুসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকালে এই দুর্ঘটনা হয়। পুলিশ জানায়, ঠাকুরগাঁও থেকে ছেড়ে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে নাইট কোচটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাজু মিয়ার স্ত্রী সাথী আকতার (২৪) ও বিপ্লব রহমান (২৬)। তাদের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের গিলাবাড়ী গ্রামে। এই দুর্ঘটনায় আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যান সাথীর শিশুকন্যা। গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হলে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স চালক রুবেল (৩০) মারা যান। ঝিনাইদহ : কালীগঞ্জ ও মহেশপুর উপজেলায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আর চারজন। জেলার কালীগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রনি আহমেদ ও মহেশপুরে কারেন্টের খাম্বাবাহী লরির চাপায় কামাল হোসেন (৩৪) ও খলিলুর রহমান নামের দুই শ্রমিক নিহত হয়। দিনাজপুর : বিরামপুরে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ট্রাককে বালুবাহী ট্রলি দিয়ে টেনে তোলার সময় ট্রাকের চাপায় শাহিনুর ইসলাম শাহিন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত শাহিনুর ইসলামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুরে। ময়মনসিংহ : ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার কাজীর শিমলায় দুটি ট্রাক ও চারটি বাসের সংঘর্ষে আবুল হোসেন নামে একজন বাসের হেলপার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। নেত্রকোনা : শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের মহিষবেড় নামক স্থানে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় জুয়েল মিয়া (২৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি পূর্বধলা উপজেলার শালদিঘা গ্রামের মৃত জামির হোসেনের ছেলে। কালিয়াকৈর : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় এক সাইকেল আরোহী পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। উপজেলার চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় সড়ক অতিক্রম করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনসার আলী পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ইন্টার স্টপ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানায় ইটিপির দায়িত্বে ছিলেন।