করোনাভাইরাসের কারণে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সড়কে কমেছে মানুষের কোলাহল। আয় কমছে খেটে খাওয়া মানুষের। অনেকে খাবার মজুদ করছেন। দাম বেড়েছে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের। নগরীর ধর্মসাগরের পশ্চিমপাড়ে টঙ দোকান পরিচালনা করেন তাসলিমা বেগম। করোনাভাইরাস নিয়ে তিনি বলেন, রোগ একটার নাম হোনি। কী নাম তা জানি না। কি করমু গরীব মানু বাজান। দশের যে গতি, আমারও হেই গতি। বাদশা মিয়া ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আল্লাহর উপর ভরসা। আল্লাহ যদি করোনা দিয়া লায় করার কিছু নাই। আমরা তো বড় লোক না। আল্লাহ ছাড়া আমরার আর যাওয়ার যায়গা নাই। এ রোগ যাদের ধরবো তারা কোটিপতি। গরিবগুনের দুঃখ আল্লাহ বুঝে। কুমিল্লার পুরাতন চৌধুরী পাড়ায় খাবার হোটেল চালান শান্ত। তিনি বলেন, আমরা এঠি বুঝি কম। পেট পাগল মানুষ। কর্ম কইত্তে কইত্তে দিন যায়। যদি করোনা মহামারি হইয়া যায়। করুণ অবস্থা হইবো আমার ঘরে। রিকশচালক হাসান জানান, আজ যদি গাড়ি না চালাই, ঘরে কাল চুলা জ্বলবে না। একদিন কাজ না করলে পরদিন না খাইয়া থাকতে হবে। যদি করোনাভাইরাস আসে, তখন করার কিছু থাকব না। শুধু আল্লারে ডাকমু।