শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

১৪ বছর উল্টে আছে সেতু দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ

শেরপুর প্রতিনিধি

১৪ বছর উল্টে আছে সেতু দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া কবিরাজপাড়া গ্রামে খালের ওপর নির্মিত সেতুটি নিচের মাটি সরে উল্টে আছে ১৪ বছর ধরে। সেতু ধসে যাওয়ার পর থেকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১০ গ্রামের প্রায় ২২ হাজার মানুষ। এলাকাবাসী বারবার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে জানিয়েও ফল পাননি। জানা যায়, ২০০৭ সালে জনগুরুত্ব বিবেচনায় ৪০ ফুট দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর-এলজিইডি। নির্মাণের কয়েক মাস না যেতেই পাহাড়ি ঢলে নিচের মাটি সরে সেতুটি উল্টে খালে পড়ে যায়। এরপর ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটি আর পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা ওই সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত শুরু করেন। বারবার সাঁকো পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায়। প্রতি বছর সাঁকো তৈরি করা যেন এলাকাবাসীর রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানান, আমরা ইউপি মেম্বার-চেয়ারম্যানদের বলেছি সেতুটি ঠিক করার জন্য। সাঁকো বানিয়ে চলাচল করলেও বারবার তা ভেঙে যায়। এখন আবার সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। কবে ভেঙে পানিতে ভেসে যায়- এই চিন্তায় আছি। এই সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্য ও গবাদি পশু পারাপারে খুব কষ্ট হচ্ছে। মাঝে-মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে স্থানীয় চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আলী আকবর বলেন, ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার বলেও কাজ হয়নি। ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, দুই বছর এখানে দায়িত্বে আছি। ওই এলাকার এমন অবস্থা তা কেউ জানায়নি।

শিগগিরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। আশা করি তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ খবর