বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) পাবনা জেলা শাখার সদস্য সচিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন ও মানববন্ধন করেছেন সোনা ব্যবসায়ীরা। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। গতকাল সকাল থেকে দোকান বন্ধ রেখে কর্মবিরতিতে যান বাজুসের সদস্য সোনা ব্যবসায়ীরা। এরপর শহরের সোনাপট্টিতে হয় মানববন্ধন ও সমাবেশ। এ সময় বক্তব্য দেন বাজুস পাবনা জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব কুতুব উদ্দিন সুইট, সদস্য আমজাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম কবির, হেলাল উদ্দিন, সত্যনারায়ণ শেঠসহ অনেকে। উপস্থিত ছিলেন সদস্য সোহেল রানা, জিয়াউর রহমান, মিজানুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, সুমন বসাক, জয়দেব কর্মকার, শরিফুল ইসলাম, শুকদেব কর্মকার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সোনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামরুল আনাম রিপন ২০১৩ সালের পর আর কোনো নির্বাচন দেননি। তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে ও নির্বাচন বানচাল করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাজুস নেতাদের হয়রানি করছেন। এ ছাড়া তিনি সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি করেছেন। তার নিজের কোনো সোনার দোকান বা ব্যবসা নেই। অথচ নাম ভাঙিয়ে সভাপতির পদ ধরে আছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। অভিযুক্ত কামরুল আনাম রিপন বলেন, ২০১৯ সালের জুনে আদালতে একটি মামলা হয়। আদালত নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। এ কারণে নির্বাচন করতে পারিনি। গত জুনে তারা জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে চিঠি নিয়ে এসে আমার কাছে অফিসের চাবি চান। চাবি না দেওয়ায় হুমকি দেন অফিস ভেঙে ফেলার। তারা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। রিপন স্বীকার করেন, তিনি সোনা ব্যবসার লাইসেন্সধারী। তার কোনো সোনার দোকান বা শোরুম নেই।
