জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নে ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট পর্যন্ত সড়ক সংস্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়কে কার্পেটিং করার পরদিনই স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে দেখতে পান কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ৩ হাজার ৭০০ মিটার দীর্ঘ এ সড়ক উন্নয়নকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ১৪ জুন ভেন্নাতলা অংশে ১৫০ মিটার সড়কের কার্পেটিং করা হয়। পরদিন দুপুরে ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় এক মোটরসাইকেল আরোহী পড়ে যান। পরে এলাকার লোকজন দেখতে পান সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টান দিলে কার্পেটিং উঠে আসে। এ সময় সেখানে উপস্থিত সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের লোকজনের কাছে বিষয়টি জানতে চান তারা। এরপর শতাধিক মানুষ এসে তাদের অবরুদ্ধ করেন এবং নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। পরে সহকারী প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের লোকজন সেখান থেকে সরে যান। এখন পর্যন্ত সড়কে বাকি নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। প্রথম থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করছেন। সঠিকভাবে কাজ করার জন্য বললেও ঠিকাদার শোনেননি। ভেন্নাতলা বাজারের মুদি দোকানি জুয়েল রানা বলেন, ‘শুরু থেকে নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছিল। বিভিন্ন সময় ঠিকাদারকে বিষয়টি বললেও তিনি কর্ণপাত করেননি। শনিবার বিকালে কার্পেটিংয়ের কাজ করেন। রবিবার দুপুরের দিকে সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান চলাচল করলে বিভিন্ন জায়গায় দেবে যায়। পরে আমরা সড়কটির বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে দেখি কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। টান দিলেই চাপড়া ধরে উঠে আসছে।’ স্থানীয় মেহেদি হাসান কাছেদ বলেন, ‘কার্পেটিংয়ের এক দিন পর বাজারে গিয়ে দেখি সড়কের কার্পেটিং হাত দিয়ে তুলছেন কয়েকজন। হাত দিয়ে টান দিলেই চাপড়া ধরে উঠে আসছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কার্পেটিং করায় এ অবস্থা।’ ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, ‘সড়কের কার্পেটিংয়ের অধিকাংশ কাজ বাকি। শুরুতেই এমন নিম্নমানের কাজ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন এলাকাবাসী। প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের লোকজনের সঙ্গে বাগ্বিত ার ঘটনাও ঘটেছে।’ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাহমুদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাহমুদ বলেন, ‘শিডিউল অনুযায়ী সড়কের নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সত্য নয়।’ এলজিইডির আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম দাবি করেন, ‘গুণগত মান বজায় রেখেই কাজটি করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু লোক বিষয়টি বুঝতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’