নীলফামারীতে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে ডোমার থানায় মামলাটি করেন ডোমার শহরের চিকনমাটি আরডিআরএস মোড় এলাকার এক নারী। সন্ধ্যায় মামলার আসামি ডোমার থানার প্রাক্তন উপ-পরিদর্শক মহাবীর ব্যানার্জিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মহাবীর দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কেউটপাড়া এলাকার কালী মোহন ব্যানার্জির ছেলে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। মামলার সূত্র জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় এক বছর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন ওই নারী। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পান সে সময় ডোমার থানায় থাকা এসআই মহাবীর। তদন্তের সুবাধে ওই নারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন মহাবীর।

এরই মধ্যে ছয় মাস আগে ডোমার থানা থেকে এসআইর বদলি হলেও মোবাইলে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল তাদের। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৫ অক্টোবর রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে ওই নারীকে ধর্ষণ করে মহাবীর। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, এর আগেও ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে সে। গতকালের ঘটনার পর মীমাংসায় বসা হয়েছিল কিন্তু মহাবীর বিয়েতে রাজি হননি। যার কারণে থানায় মামলা করতে হয়েছে। ডোমার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ জানান, পৌরসভার কাউন্সিলরের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি যাই। এবং তাদের কথাবার্তায় মনে হয়েছে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিল। গতকাল রাতে পুলিশ কর্মকর্তাকে ওই নারীর নিকটাত্মীয়রা আটক করেন। কোনো অভিভাবক না আসায় তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী জানান, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামি মহাবীরকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হয়।  মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নীলফামারী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ছয় মাস আগে নীলফামারীর ডোমার থানা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা র‌্যাবে বদলি হন মহাবীর ব্যানার্জি। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম মোমিন বলেন, আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে কোর্ট পুলিশ।