তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, 'বগুড়াকে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আনা হবে। যাতে ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যারা মানুষ পুড়িয়েছে, বগুড়া জ্বালিয়ে দিয়েছে এমন কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর যাতে না ঘটাতে পারে সেজন্য বগুড়াকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নেয়া হবে। নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা বিধান করা হবে।' আজ শনিবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের জিলা স্কুল মাঠে ৩ দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা এবং ৩৭তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে সহজ করে দিয়েছেন। সরকার নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। কোনো মেৌলবাদ জঙ্গীবাদকে দেশের মাটিতে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।' তিনি আরো বলেন, '১৯৯২ সালে দেশ বিনা খরচে সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে সংযুক্তির সুবিধা পেতে যাচ্ছিল। তথ্য পাচার হচ্ছে এমন অযুহাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে সংযুক্ত হতে দেননি। এক বছরের মধ্যেই বগুড়ার ১২টি উপজেলায় ৪৯টি কম্পিউটার ল্যাব নির্মাণ করা এবং সকল পৌরসভায় ডিজিটাল সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। এর মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। পাঁচশটি মাল্টি মিডিয়া ক্লাস রুম করা হবে। বগুড়াকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।'
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা, জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু। মেলায় ৪টি ক্যাটাগরিতে মেলায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলে ৫৫টি স্টল স্থান পেয়েছে। এ উপলক্ষ্যে একটি র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ