সরকার প্রাথমিক লেভেল থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত ছাত্র/ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ছাত্রীদের উপবৃত্তির সুবিধা চালু করলেও নানান জটিলতার কারণে উখিয়ায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪হাজার ১৬জন ছাত্র/ছাত্রী দীর্ঘ ১৮মাস যাবৎ উপবৃত্তি বঞ্চিত রয়েছে। এ কারণে এসএসসি পাশ করার পর অর্থাভাবে অনেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনিতে ভর্তি হতে পারেননি। ঝরে পড়েছেন শিক্ষা জীবন থেকে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ৫ ইউনিয়নে মোট ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৮টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। এখানে উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ১৬জন। তারা ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত নিয়মিত উপবৃত্তি পেয়েছে। এরপর থেকেই তা বন্ধ রয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম মিঞা জানান, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের তিনটি খাতের অর্থায়ন থেকে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। খাত গুলো হচ্ছে-বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের জিওবি। এরমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো জিওবি খাতভুক্ত। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে উপবৃত্তি বন্ধ রয়েছে। এর কারণ হিসেবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মোবাইল ব্যাংক হিসাব নম্বর খুলে টাকা নেওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের হিসাব নম্বর খুলতে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ১৮মাস যাবৎ উপবৃত্তি বকেয়া রয়েছে। এছাড়া এইচএসসি এবং আলিম পর্যায়ে যে সমস্ত ছাত্রী উপবৃত্তি পেতো তারাও দীর্ঘ ১৮মাস যাবৎ উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ডিগলিয়াপালং গ্রামের ছৈয়দ আকবর বলেন, তার বোন রহিমা গত ২০১৫সালে এসএসসি পাশ করে। অর্থাভাবে তাকে কলেজে ভর্তি করাতে পারেননি। তিনি বলেন, যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার বোন উপবৃত্তির টাকা পেলে তাকে কলেজে ভর্তি করাতে পারতেন। রহিমা এখন চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টে কাজ করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কক্সবাজার জেলা ম্যানেজার মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, অভ্যন্তরীণ কিছু জটিলতার কারণে উপবৃত্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আশা করি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই উপবৃত্তি প্রদান শুরু করা যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ