টাইম লাইন ১৩ জুন, শুক্রবার গভীর রাত। কারও কারও মতে, ১৩ সংখ্যাটি আনলাকি থার্টিন। শুক্রবার সপ্তাহের পবিত্র দিন হলেও সেদিনটি ছিল ইরানিদের জন্য সত্যিকার অর্থে আনলাকি রাত। অন্য সবার মতো সেই রাতে ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি বালিশে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলেন। পাশে ছিলেন স্ত্রী ও মেয়ে। হয়তো মেয়েটির মাথায় হাত রেখে ঘুমিয়েছিলেন তার মা। যেমন করে প্রতিটি মা ঘুমান সন্তানকে নিয়ে। কিন্তু সে ঘুম থেকে তাঁরা আর জাগতে পারেননি। বাঘেরি শুধু একজন সামরিক কর্মকর্তাই নন-তিনি একজন বাবা ও স্বামী। রাতের আঁধারে চালানো বর্বর হামলায় শুধু এই জেনারেল নন, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘরে, বিছানাতেই ঘুমন্ত অবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তাঁরা ঢলে পড়েছেন মৃত্যুর কোলে। ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরা ইরানে হামলাকারী ইহুদিবাদীদের ‘নব্য নাৎসি’ বলে অভিহিত করেছেন।
সবারই জানা, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় মানবতার শত্রু হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হাতে লাখ লাখ ইহুদি গণহত্যার শিকার হয়। ইসরায়েলের ইহুদিবাদী শাসকরা হিটলারকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করলেও দেখেশুনে মনে হচ্ছে ফিলিস্তিনি নিধনে তারা ওই ঘাতককে তাদের আইকন হিসেবে বেছে নিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন জাতি ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে নিধনযজ্ঞে উঠেপড়ে লেগেছে ইসরায়েল। ইরানের অপরাধ, তারা তাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদিবাদী শক্তির ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে। প্রবল প্রতিপক্ষ শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নিজেদের পরিণাম কী হবে, তা তারা ভাবেনি একবারও। মুসলমান হিসেবে মজলুম মুসলমান ভাইদের পক্ষে দাঁড়ানোকে তারা কর্তব্য বলে ভেবেছে। ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সীমান্ত নেই। সরাসরি স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই। অথচ ফিলিস্তিনের ওপর জাতিগত নিধন চালানো হলেও কুম্ভকর্ণের ঘুমে মগ্ন তাদের আরব ভাইয়েরা। ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় কোনো কোনো আরব দেশ যে ইসরায়েলের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে, তা এখন ওপেন সিক্রেট।
ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় এলাকার যে দেশটিকে তাদের জাত শত্রু মনে করে সে দেশটির নাম ইরান। ইরানের প্রাচীন নাম পারস্য। লাখো বছর আগেও সেখানে মানব বসতি ছিল এমন প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দুনিয়ার আর কোথাও ১ লাখ দূরের কথা, ৫০ হাজার বছর আগে মানব বসতির অস্তিত্ব থাকার কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ নেই। ঐতিহ্যবাহী এই দেশটিতে ১৩ জুন শুক্রবার গভীর রাতে নৃশংস হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টার তছনছ হয়ে গেছে সে হামলায়। প্রাণ হারিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান, বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধানসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। ইরানের অন্তত ১২ জন শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীও প্রাণ হারিয়েছেন আকস্মিক হামলায়।
ইরানে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল একেবারে নিখুঁত। যাকে বলে পিন পয়েন্টেড হামলা। এ হামলা ইরানের গোয়েন্দাব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরেছে। ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণের ভার দেওয়া হয়েছিল ভারতকে। বন্দর সংরক্ষণের নামে শত শত মোসাদ এজেন্ট ইরানে কাজ করার সুযোগ পায়। তাদের সহায়তায় ইরানে টার্গেটেড কিলিং চালায় ইসরায়েল। বাংলাদেশে যারা চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি ব্যবস্থাপনায় দেওয়া বা রাখাইন করিডরের তত্ত্ব ফেরি করছেন, তাদের সে সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী কি না, ইরানের পরিণাম থেকে শিক্ষা নেওয়ার আছে।
ইসরায়েলি হামলায় ইরান ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পাল্টা জবাবে পরদিন একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে। শতাধিক ড্রোন পাঠিয়েছে জাতশত্রু ইসরায়েলের দম্ভ ভেঙে দিতে। সেসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের একাংশ ইসরায়েলে আঘাত হানার আগেই তাদের হয়ে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইহুদিবাদীদের মিত্র কোনো একটি আরব দেশ। ইসরায়েলের বিশ্বসেরা আকাশ নিরাপত্তাব্যবস্থা ইরানের বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে। তারপরও ওই ইহুদিবাদী দেশটি তাদের ৭৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বড় ধরনের আঘাত পেয়েছে।
আরব দেশগুলোর নতজানু ভূমিকায় মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিবাদীরা থাবা বিস্তার করে চলছে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে। মুখে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বললেও বেশ কিছু আরব দেশ গোপনে যে তাদের তাঁবেদারি করছে তা ওপেন সিক্রেট। ইরানই একমাত্র দেশ, যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইটের বদলে পাটকেল ছুড়তে কসুর করেনি। তেহরানে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের পর ইরান যে রুদ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা ইহুদিবাদী দেশটিকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে চুক্তিতে আবদ্ধ না হলে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে। ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেন ও ফ্রান্স দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। চীন ও রাশিয়া ইরানকে নৈতিক সমর্থন দিলেও বাস্তবে তারা পাশে দাঁড়াবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। মুসলিম দেশগুলোর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ১৯৭৭ সালে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার আগে ইরান ছিল ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান মিত্র। ইরানের রাজতন্ত্র বিরোধীদের দমনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানি গোয়েন্দা সংস্থা সাভাককে প্রশিক্ষণ দিত। বলা হয়ে থাকে, আমেরিকান তাঁবেদার ইরানের ক্ষমতাচ্যুত শাহেনশাহ রেজা শাহ পাহলভী ছিলেন ইহুদিদের চেয়েও বেশি ইসরায়েলপ্রেমী।
আগেই বলেছি, ইরান বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ। পবিত্র কোরআনের সুরা কাহাফে জুলকারনাইন নামের এক ব্যক্তি বা শাসকের কথা বলা হয়েছে। মক্কার মুশরিকরা প্রায়ই নানা প্রশ্ন নিয়ে হাজির হতো রসুল (সা.)-এর সামনে। যখন নিজেরা পেরে উঠত না, খায়বারের ইহুদিদের শরণাপন্ন হতো। ইহুদিরা একবার তিনটি প্রশ্ন তৈরি করে দেয় মুশরিকদের। প্রথমটি আত্মা সম্পর্কে, দ্বিতীয়টি আসহাবে কাহাফ সম্পর্কে এবং তৃতীয়টি জুলকারনাইন সম্পর্কে। প্রশ্নগুলো ইহুদি এবং খ্রিস্টান ইতিহাসের সাঙ্গে জড়িত। যদি রসুল (সা.)-এর দাবি অনুযায়ী তিনি ইবরাহিমি ধারাবাহিকতার নবী হয়ে থাকেন, তবে তাঁর কাছে এই প্রশ্নগুলোরও উত্তর থাকার কথা। প্রশ্নগুলো মূলত এজন্যই করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে সুরা কাহাফ নাজিল হয়। (তাফসিরে ইবনে কাছীর, ষষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৯১) যা হোক সুরা কাহাফে উল্লেখিত জুলকারনাইন শব্দটির অর্থ দুই শিংবিশিষ্ট। মনে করা হয়, তিনি যে মুকুট ব্যবহার করতেন তার দুই পাশে হয়তো দুটি শিংয়ের অলংকরণ থাকায় তাঁকে ওই নামে অভিহিত করা হতো। জুলকারনাইন ছিলেন জনদরদি শাসক। ইয়াজুজ মাজুজের কবল থেকে বিপদাপন্ন মানুষদের রক্ষায় তিনি দুই পাহাড়ের মাঝে এক বিশাল প্রাচীর তৈরি করেন। ধর্মবিশারদদের অনেকের দৃষ্টিতে গ্রিক বীর আলেকজান্ডারই হলেন পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত জুলকারনাইন। তবে জুলকারনাইন চরিত্রের সঙ্গে আলেকজান্ডারের পার্থক্য আকাশপাতাল। আলেকজান্ডার অস্ত্র বলে পদানত করেছেন একের পর এক জাতিকে। অন্যদিকে জুলকারনাইন আবির্ভূত হয়েছিলেন ত্রাতার ভূমিকায়।
পবিত্র কোরআনে যে জুলকারনাইনের কথা বলা হয়েছে। তিনি ন্যায়ের মূর্তপ্রতীক। সেদিক থেকে পারস্য সম্রাট সাইরাসের সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। পরম শত্রুরাও সাইরাসের ন্যায়বিচারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বাইবেলে নবী দানিয়েলের স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে। যেখানে তিনি মিদিয়া ও পারস্যের যুক্ত সাম্রাজ্যকে দুই শিংওয়ালা মেষের আকারে দেখেছেন। ইহুদি ধর্মতত্ত্বে জুলকারনাইন বা দুই শিংওয়ালা তকমাটা বেশ পরিচিত। কারণ পারস্য সম্রাট সাইরাস দ্য গ্রেটের মাধ্যমেই ইহুদিদের সত্তর বছরের বন্দিজীবনের ইতি ঘটে। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ তাঁর তারজুমানুল কোরআনে সম্রাট সাইরাসকে জুলকারনাইন বলে অভিহিত করেছেন। স্যার সৈয়দ আহমদ খানও এ বিষয়ে ইশারা দিয়েছেন। মধ্যযুগের খ্যাতনামা ইসলামি পণ্ডিত মাকরিজি তাঁর আল খিতাত বইয়ে জুলকারনাইনকে ইয়েমেনের শাসক হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। তবে তিনিও উল্লেখ করেছেন যারা জুলকারনাইনকে পারসিক, গ্রিক বা রোমান বলে অভিহিত করে, তাদের ধারণা ভুল। অর্থাৎ মাকরিজি স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর সময়েও জুলকারনাইন যে পারস্যের এমন একটি ধারণাও প্রচলিত ছিল। মাওলানা মওদুদী, আল্লামা তাবতাবায়ী, আয়াতুল্লাহ মোকারেম সিবাজী আরও অনেক ইসলামি পণ্ডিত সম্রাট সাইরাসকে জুলকারনাইন বলে অভিহিত করেছেন।
পাদটীকা : কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর একটি কথা চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় শেখ হাসিনার পতনের পেছনে কলকাঠি নেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনে তাদের হাতে সেন্টমার্টিন তুলে দেননি। এ ছাড়া হাসিনা নিজেও অভিযোগ করেছিলেন, সেন্টমার্টিনের নিয়ন্ত্রণ চায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসন অবশ্য হাসিনার পতনের পেছনে হাত থাকা এবং সেন্টমার্টিন চাওয়ার সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন চাওয়ার অভিযোগটি প্রত্যাখ্যান করেছে বটে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ সামরিক দিক দিয়ে কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরের আগস্টে এ বিষয়ে ‘ইউএস নেভাল ইনস্টিটিউট’-এ প্রকাশিত কলামে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশে সামরিক দিক দিয়ে পা রাখতে পারে, তাহলে তারা চীনের বিরুদ্ধে আরেকটি শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর লজিস্টিকের জন্য এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অন্যদের কার্যক্রমে বাধা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে এটি।
কলামটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে কাজ করে মার্কিন সেনারা এসব ঘাঁটি ব্যবহার করে চীনের প্রকল্পগুলোর ওপর নজরদারি চালাতে পারবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান বঙ্গোপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হওয়ায়; এটি ব্যবহার করে মালাক্কা প্রণালিতে তারা টহল দিতে পারবে। এই প্রণালিটি চীনের অর্থনীতি এবং শিল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
কলামে আরও বলা হয়েছে, ‘যেহেতু বঙ্গোপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ঘাঁটি নেই। যদি ওই অঞ্চলে কোনো দ্বন্দ্ব বাধে, সেটি মোকাবিলায় বাংলাদেশের নৌঘাঁটিগুলো মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য নিরাপদ স্থান এবং লজিস্টিক হাব হতে পারে।’
মাতারবাড়ীর নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দরের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই কলামে। এতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ এখন মাতারবাড়ীতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করছে। এতে সহায়তা করছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ মিত্র জাপান। তারা চাইলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে থাকা দূরত্ব দূর করতে পারবে। এ ছাড়া নিশ্চিত করতে পারবে যদি ভবিষ্যতে কোনো যুদ্ধ বাধে, তাহলে মালাক্কা প্রণালি টপকে চীন ‘চীন-মিয়ানমার বাণিজ্য করিডর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করতে পারবে না। এতে করে বঙ্গোপসাগরে চীনের বিরুদ্ধে সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।’
কলামটিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের বিরুদ্ধে লং রেঞ্জ আইএসআর (গোয়েন্দা, নজরদারি এবং নিরীক্ষা) সুবিধা দিতে পারবে।
-মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন
♦ লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
ইমেইল : [email protected]