প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বহু বছর পর এবার মানুষ, বিশেষ করে প্রথমবারের ভোটাররা, সত্যিকারের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। এটি হবে উৎসবমুখর ও আশাব্যঞ্জক এক উপলক্ষ। ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার সুসান রাইল গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ভিসাকার্যক্রম পুনরায় চালু করায় ও নানান ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় অস্ট্রেলিয়ার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার রাইল জানান, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন আরও সহজ করা হয়েছে। এখন থেকে ভিসা আবেদন অনলাইনেই করা যাবে। তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে ৬৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছেন এবং এর সঙ্গে আরও ১৪ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও প্রবাসীদের অবদান তুলে ধরে বলেন, অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস কর্মসূচির মাধ্যমে গঠিত ৩ হাজারের বেশি বাংলাদেশি অ্যালামনাই বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার কর্মসূচি, আসন্ন নির্বাচন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রোহিঙ্গাসংকট নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিশৃঙ্খল সময় অতিক্রম করে একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মূল মনোযোগ এখন সাংবিধানিক, বিচারিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের ওপর। এ ভিত্তিগুলোর ওপর দাঁড়িয়েই একটি শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। আগামী মাসে ঐতিহাসিক জুলাই বিদ্রোহের বার্ষিকীতে “জুলাই সনদ” প্রকাশ করা হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষাবৃত্তি আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান। এ ছাড়া বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার জন্য মানবিক সহায়তা আরও বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।