ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের নামে করা রউফনগর সড়কটির তিনটি জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার, স্মৃতি জাদুঘর, গ্রামের বাড়িতে যাতায়াতের একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে গেছে।
দীর্ঘদিন ধরে মধুমতি নদীর ভাঙনের কারনে ওই সড়কের গন্ধখালী, ফুলবাড়িয়া ও রাজধরপুর গ্রামের দুই কিলোমিটার সড়ক চলে গেছে নদীগর্ভে। বন্ধ হয়ে গেছে কামারখালী-রউফনগর সড়কটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ নগরের রাস্তাটি বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন। অনেকেই দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন স্মৃতি জাদুঘরটি দেখতে। মাগুরা থেকে আসা কলেজ ছাত্র সুমন সাহা, রাজিব, তৌফিক নামের তিন শিক্ষার্থী জানান, তারা দলবেঁধে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের স্মৃতিবিজড়িত গ্রাম ও জাদুঘরটি দেখতে এসেছেন। কিন্তু সড়কটি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ায় তারা রউফনগরে যেতে পারছেন না। অনেকটা ক্ষোভ নিয়েই তারা ফিরে যান।
এদিকে, মধুমতি নদীর ভাঙনের কারনে ওই এলাকার বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ উচ্চ বিদ্যালয়, দয়ারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গন্ধখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং ওই এলাকার মানুষ নদীর তীর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসী দ্রুত বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ নগরের সড়কটি সংস্কার নতুবা ভিন্নপথ দিয়ে সড়ক চালু করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার জানান, গত ডিসেম্বর মাসের জেলা সমন্বয় কমিটিতে জাদুঘরের সড়কটির অবস্থা সর্ম্পকে তুলে ধরা হয়। এ সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে অনুমোদন নিয়েছে বলে জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের আওতায় ৮৫০ মিটার দৈর্ঘের একটি রাস্তা নির্মানের জন্য প্রায় ১৯ কোটি টাকার প্রাক্কলন জমা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ফাইলটি অনুমোদনের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে রয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ