নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদ নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে আটক রেখে দুই লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে বদরুদ্দোজা মাহমুদ নামে পুলিশের এক এসআই'র বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দাবিকৃত দুই লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা পরিশোধ করলেও বাকি এক লাখ টাকা না পেয়ে এসআই ওই ব্যবসায়ীকে ৩৪ ধারা (পুলিশের একটি ধারা যার মাধ্যমে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যায়) মোতাবেক আদালতে প্রেরণ করেন বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদ এ ব্যাপারে রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জুলহাস দেওয়ান ওরফে ফরিদ জানান, তিনি রাজধানীর ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকার আবুল কাশেম মাষ্টারের ছেলে। গত ১৯ জানুয়ারি রূপগঞ্জ উপজেলার বানিয়াদি এলাকায় আত্মীয় আজমত আলী প্রধানের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে জুলহাস দেওয়ান তার ব্যবহৃত মটরসাইকেলযোগে মুড়াপাড়া শাহজাহানের খাবার হোটেলের কাছে পৌঁছামাত্র দুই ব্যক্তি এসে তার গতিরোধ করে। পরে তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় মুড়াপাড়া ফেরিঘাটে। এরপর বদরুদ্দোজা মাহমুদ স্যার আসছে বলে তাকে আটকে রাখে।
এসময় বদরুদ্দোজা মাহমুদ এসে বলেন, জুলহাস দেওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, দুই লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে। অথচ তার (জুলহাস দেওয়ান) বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল না। তাৎক্ষনিক বিষয়টি তার মা জেবুন নেছা ও জনৈক ভাই বাদল মিয়াকে জানান। খবর শুনে মা জেবুন নেছা ধার-দেনা করে সোর্স হাসান ও সুজনের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি আরও এক লাখ টাকা পরিশোধ না করায় জুলহাস দেওয়ানকে ৩৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া মটরসাইকেল, মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন রেখে দেয়।
পরে বিজ্ঞ আদালত থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে বদরুদ্দোজা মাহমুদের কাছে থাকা মটরসাইকেল, মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ফেরত চান জুলহাস দেওয়ান। কিন্তু বদরুদ্দোজা মাহমুদ দাবিকৃত বাকি এক লাখ টাকা না দেওয়া হলে কোন কিছুই ফেরত দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
এ বিষয়ে বদরুদ্দোজা মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ধরণের ঘটনার ব্যাপারে আমার জানা নেই। অভিযোগ আমার কাছে আসলে তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ