নিয়মিত শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে পাথর আমদানি বন্ধ। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে এই বন্দরের কার্যক্রম। এই বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন গত ১ তারিখ থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। কারণ পাথর আমদানিতে যে পরিমান নিয়মিত শুল্ক বাড়ানো হয়েছে তাতে আমদানি করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
তারা জানান ভারতে পাথরের মূল্য বেশী। বাংলাদেশে শুল্ক বেশি। এই অবস্থায় পাথর আমদানি করে লোকশানের মুখোমুখি হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সমস্যাটির দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেবেন বলে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি জুন মাসের আগে প্রতি ৫শ' টন পাথর আমদানি করতে সরকারকে নিয়মিত শুল্ক দিতে হতো ১ লাখ আশি হাজার ৬শ' ষাট টাকা। কিন্তু গত ১ জুন থেকে প্রতি ৫শ' টনের বিপরীতে ২ লাখ ৫ হাজার ৯ একত্রিশ টাকা নিয়মিত শুল্ক প্রদান করতে হচ্ছে। প্রতি টনে নিয়মিত শুল্ক বেড়েছে তিপ্পান্ন টাকা। এ জন্য আমদানিকারকরা পাথর আমদানি বন্ধ করেছেন।
জানা গছে, গত অর্থবছরে ১৫ জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৯ লাখ ৪ হাজার টন পাথর আমদানি করা হয়েছে। এ বছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত পাথর আমদানি হয়েছে ৫ লাখ পনের হাজার টন।
সিএন্ড এফ এজেন্ট সাইদুর রহমান জানান, বর্তমানে পাথর আমদানি করছেন না আমদানিকারকরা। ফলে স্থলবন্দরটি একটু স্থবির হয়ে পড়েছে। আশা করছি সরকার সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর আমদানি-রপ্তানী কারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমদানিকারকরা লোকশান করে পাথর আমদানি করবে না এটাই স্বাভাবিক। আমরা ভারতের ব্যবসায়ীদেরকে পাথরের দাম কমানোর অনুরোধ জানিয়েছি। সরকারও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে বলে আশা করি। বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় করে থাকেন।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সুনন্দন দাস বলেন, বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে এই বন্দর দিয়ে পাথরই সবচেয়ে বেশী আমদানি হয়। গত কয়েকদিন ধরে আমদানি কারকরা পাথর আমদানি বন্ধ করার কারণে বন্দরে একটু প্রভাব পড়েছে।