পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ উপকূলজুড়ে ইলিশ শিকারের আগাম প্রস্তুতি চলছে। ইলিশের মৌসুমকে ঘিরে জেলেরা এখন সাগরযাত্রার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কেউ নতুন ট্রলার তৈরি করছে। কেউ পুরনো ট্রলার মেরামত করছে। আবার কেউবা জাল সেলাই কিংবা নতুন জাল কিনছেন। গত বছর সাগরবক্ষে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় এ বছরেও আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে উপকূলের কয়েক হাজার জেলে। প্রত্যেকটি জেলে পল্লীতে একই দৃশ্য। বৃহৎ ইলিশের মোকাম মহিপুর-আলীপুর বন্দরসহ আশপাশে জেলেদের এখন গভীর সাগরে যাওয়ার পূর্বপ্রস্ততি চলছে। বসে নেই মহাজনসহ ট্রলার মালিকরা। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সবকটি জেলে পল্লীতে এমন প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে অল্প পরিমাণে হলেও ইলিশ এখনই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।
আর কিছুদিন গেলেই ইলিশ শিকারের ভরা মৌসুম শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট জেলে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য বন্দর আলীপুর, মহিপুর, খালগোড়া, খাজুরা, ঢোস, গঙ্গামতি, বালিয়াতলী, ব্যুরো জালিয়া, বানাতিবাজার, পাটুয়া, দেবপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জেলেরা অন্তত অর্ধশত নতুন ট্রলার তৈরি করছে। এরা সবাই গভীর সাগরে এ বছর ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি নিয়েছে।
আব্দুল মতিন খান জানান, অন্যের সঙ্গে জীবনভর কাজ করেছেন। এবছর নিজেই সাগরে নৌকা নামাবেন। প্রস্তুতি শেষের দিকে। জালসহ বিভিন্ন সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে।
জেলে মিরাজ হাওলাদার জানান, আট লাখ টাকা ব্যয়ে করে তিনিও একটি ট্রলার তৈরি করেছেন।
জেলে মনিরুল জানান, বাপ-দাদার মাছের পেশা এখনও ধরে রেখেছেন। পেটের তাগিদে সাগরে নামতেই হবে। ইলিশ শিকারের জন্য ভরা মৌসুমের অপেক্ষা করছেন তিনি।
মৎস্য বন্দর মহিপুর আড়ত মালিক সমিতির নেতা গাজী ফজলুর রহমান জানান, এখনই যারা সাগরে নামছে তারা দু’চারটা ইলিশ পাচ্ছেন। আর কিছুদিন গেলেই পুরো মৌসুম শুরু হবে।
ঊর্ধতন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, সাধারণত বৃষ্টির মৌসুম শুরু হলেই ইলিশ জালে ধরা পড়ে। এখন শীতেও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য অনুসারে জুনের শেষের দিকে জেলেরা ইলিশ ধরতে সাগরে নামবে।
বিডি প্রতিদিন/১৫ জুন, ২০১৭/ফারজানা