গুমোট পাহাড়ে বেড়েছে আতঙ্ক। বৃষ্টি যেন থামছে না পাহাড়ে। ফলে কাটছেনা নতুন করে পাহাড় ধসের শঙ্কা। কখনো হালকা, কখনো মাঝারি, আবার কখনো ভারী বর্ষণ। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে এখনো সরে যেতে মাইকিং করছে ফায়ার সার্ভিস। পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলে এখনো বিচ্ছিন্ন রাঙামাটি।
অন্যদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে শরণকাল সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে এবার রাঙামাটিতে। পাহাড়ের মাটি এখনো নরম, তাই নিশ্চিত বলা যাচ্ছেনা কিছু। পাহাড়ে রগায়ে মেঘে বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা দেখতে যতটাই না সুন্দর। সেখানে বাস করা মানুষের জন্য ততটাই ভয়ঙ্কর। রাঙামাটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ভেদভেদীর রাঙ্গাপানি এলাকা। পাহাড় ধসে এ এলাকায় প্রাণ গেলো ১৭ জনের। এ ঘটনার ৬দিনেও ঘরে ফিরছেনা মানুষ। শনিবার দিনে রোদ্র উজ্জল সকাল কিছুটা আশার আলো দেখালো রাত থেকে বৃষ্টি আবারও আতঙ্কিত তারা। তাই পাহাড়ি আঞ্চলের মানুষগুলো ভাঙ্গা সড়কে মোমবাতি জ্বালি নেমেছে প্রার্থনায়।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা ক্যাচিনু মারমা বলেন, পাহাড় ধসের আগের দিন থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি মাঝে ২দিন বিরতি দিলেও এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি থামেনি। এমনভাবে কতদিন চলবে তা বরা মুশকিল।
নিহত এক:
অন্যদিকে অতিবৃষ্টিতে বজ্রপাতে নিহত হয়ে ফুলবানি চাকমা (২৮) নামে এক নারী। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলার নানিয়ারচর উপজেলার পাতাছড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে। অন্যদিকে পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলে বিচ্ছিন্ন রাঙামাটিতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ কারণে ফের পাহাড়ধসের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার নিউটন দাস জানান, সকালে জেলার ভেদভেদী টিঅ্যান্ডটি, মুসলিমপাড়া বেতারকেন্দ্র এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ধসের আশঙ্কায় মাইকিং করা হয়। পাহাড়ধস ও বজ্রপাতে এখন পর্যন্ত ১১৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া বাড়িঘর, গাছপালা, ফসল ও গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ধসের পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।
একদিকে রমজান অন্যদিকে পাহাড় ধস। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে উত্তাপ। সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে মাংস, ছোলা, ডাল, আদা ও রসুনের দাম। তাই ক্ষোভ বাড়ছে ক্রেতাদেরও। অন্যদিকে চাহিদা অনুযায়ী মিলছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আর যা মিলছে তার দাম ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে।
এব্যাপারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জানান, আমারা বাজরের বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর মধ্যে যেমন-চাল ৩৫-৪০টাকা, আলু ২৩-২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ-১০০-১২০টাকা, মড়ি ৭০-৭২টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৪৫টাকা, কাকরোল ৪০-৪৫টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। এর বাইরে কোন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অধিক দামে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠিন শস্তি দেওয়া হবে।
শিরোনাম
- সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
- সমবায় অধিদপ্তরের নতুন ডিজি ইসমাইল হোসেন
- জাপোরিঝিয়ায় সম্মুখযুদ্ধের সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করলেন জেলেনস্কি
- রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিকদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
- কাঠামোগত সংস্কারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি : আইএমএফ
- ট্রাম্পের কাছে তথ্যচিত্রের জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
- বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ
- বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
- ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস
- শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা
- নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
- প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর
- নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
- চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
- আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
- ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া
- শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
- সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন
- উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
গুমোট পাহাড়ে আতঙ্ক: বজ্রপাতে নিহত ১
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:
অনলাইন ভার্সন
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন
এই বিভাগের আরও খবর