কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আগরতলা মিথ্যা মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার চিন্তা ছিল। আর বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে সেই দিন শহীদ ময়েজউদ্দিন চারণের মত সারাদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আজ বিকেলে ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ ময়েজউদ্দিন আহমেদের ৩৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু তখন জেলে। ফাঁসি হবে কিনা কেউ জানে না। সেই অবস্থায় ময়েজউদ্দিনের নেতৃত্বে ফান্ড তৈরি করে আগরতলা মিথ্যা মামলা পরিচালনার ভার নেন তিনি।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভাঙ্গা দলকে জোড়া দিয়ে যারা সুসংগঠিত করেছেন শহীদ ময়েজউদ্দিন তাদের মধ্যে অন্যতম। ওইদিন কেউ ছিল না বিধায় দলের প্রতি নিবেদিত হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আর এ জন্য তিনি ঘাতকের হামলায় শহীদ হন।
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি ভূইয়ার পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আখতারউজ্জামান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আজমতউল্লাহ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয়, গাজীপুর মহানগর, জেলা এবং কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে ২২ দল আহুত হরতালের আহ্বান করে। ওইদিন গাজীপুরের কালীগঞ্জে গণতন্ত্র প্র্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মিছিলে শহীদ ময়েজউদ্দিন আহমেদ নেতৃত্ব দেন। ওই সময় কালীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থালেই তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। শহীদ ময়েজউদ্দিন আহমেদ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির পিতা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার